জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলার এনসিপি শাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ গণমিছিলের আয়োজন করে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় কুড়িগ্রামের কলেজ মোড়স্থ বিজয় স্তম্ভ থেকে শুরু হওয়া এই মিছিল শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে এবং দোয়েল চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
এনসিপির এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রধান সমন্বয়কারী মুকুল মিয়া এবং সঞ্চালনায় ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী রাশেদুজ্জামান তাওহীদ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এনসিপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী মাসুম মিয়া, মোজাম্মেল হক বাবু, মাহমুদুল হাসান জুয়েল, জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক এম রশীদ আলী, সদস্য সচিব তারিকুজ্জামসন তমাল এবং জাতীয় শ্রমিক শক্তির জেলা আহ্বায়ক মমিনুর রহমান।
মুকুল মিয়া তার বক্তব্যে বলেন, "ফ্যাসিবাদীদের তাড়ানোর এক বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের গোষ্ঠী এখনো বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় রয়েছে। প্রশাসনকে এদের দমন করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।" তিনি বর্তমান সরকারকে সতর্ক করে বলেন, "এই সরকার শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে, তাই আপনাদের উচিত শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানী না করা। কোনো গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক সংস্কার ছাড়া আগাম কোনো নির্বাচন দেওয়া উচিত হবে না।"
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী মাওলানা দিনার মিনহাজ, সদস্য আসাদুজ্জামান, লিটু সরকার, আইয়ুব আলী এবং আব্দুর রাজ্জাক রাজু। তাদের উপস্থিতি ও বক্তব্যে সমাবেশ ছিল প্রাণবন্ত ও উদ্দীপনাময়।
এনসিপির এই গণমিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে তাদের সদস্যরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তাদের দৃঢ় অবস্থান ও জনগণের অধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। যথাযথ সাংবিধানিক সংস্কার ও জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানান তারা।