close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

কুয়াকাটায় কোটি টাকার বানিজ্যে জড়িতের অভিযোগে ইউএনও কে শোকজ।..

মুহাম্মাদ রাকিব avatar   
মুহাম্মাদ রাকিব
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশিত : ১৯:৫৫ পিএম, ১৬ মে ২০২৫

জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কুয়াকাটা সাগর সৈকত জামে মসজিদ সংলগ্ন মার্কেট নির্মাণের অভিযোগে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলামকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

জানা গেছে, কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টে অবস্থিত সাগর সৈকত জামে মসজিদ সংলগ্ন মহাসড়কের পাশে জেলা প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিরেকে মার্কেট নির্মাণ করছে ইউএনও।

মসজিদের মুসল্লিদের দাবি, জমিতে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে ওই জমি মসজিদ কর্তৃপক্ষের। অপরদিকে ওশান গ্রুপ, স্থানীয় জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও রহিম খান গংরা দাবি করছেন, বিরোধপূর্ণ ওই জমি ক্রয় সূত্রে তারা মালিক।

তারা আরো দাবি করেন, ২৮৯৭/২০১০ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ৪ একর ৭৭ শতাংশ জমির মালিক সাব্যস্ত হয় মালেক ফরাজি গং। উক্ত মালেক ফরাজী সুপ্রিম কোর্টে ডিগ্রি প্রাপ্ত হইয়া ১২/৮/২০১৫ ইং তারিখ কুয়াকাটা সাগর সৈকত জামে মসজিদের অনুকূলে ১০ শতাংশ ভূমি সাব কবলামূলে বিক্রয় করেন। অত্র মসজিদটি সাব-কবলা দলিলমূলে মালিক থাকিয়া অত্র জমিটি ভোগ দখলে আছে।

অন্যদিকে ওশান গ্রুপ কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, মালেক ফরাজি গংদের কাছ থেকে ৪ একর ৭৫ শতাংশের মালিক তারা। যার বিএস রেকর্ড সরকারের নামে থাকায় তারা আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা করেছেন।

মসজিদ কমিটির দাবি অত্র জমি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম জোরপূর্বক দখল করে তার খেয়াল খুশিমতো প্রকল্প দিয়ে একটি মার্কেট নির্মাণ করছে। এতে কোটি টাকার বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন ইউএনও।

এ বিষয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বাধা দিলেও ইউএনও তা শুনছেন না। এরই প্রেক্ষিতে পটুয়াখালী ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মসজিদ কমিটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নম্বর ৫৫৭/২৫। উক্ত মামলায় গত ১৪ মে পটুয়াখালী যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতের বিচারক কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে মসজিদের মুসল্লি মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, ইউএনও মসজিদ কমিটিকে তোয়াক্কা না করে মসজিদের জমিতে অবৈধভাবে জোরপূর্বক মার্কেট নির্মাণ করছেন। যার কারণে মসজিদ কমিটি মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম মার্কেট নির্মাণে বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি সরকারি জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। শোকজের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। 

コメントがありません