close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

করিমগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় "খাইরুল ইসলাম আক্কাস "গুরুতর আহত: নিরাপত্তা,গ্রেফতার ও ন্যায়বিচারের দাবিতে বিশাল মানববন্ধন!!..

KUTUB UDDIN AHMED avatar   
KUTUB UDDIN AHMED
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ঝাউতলা গ্রামের মো. খাইরুল ইসলাম আক্কাস সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূ..

 

করিমগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় "খাইরুল ইসলাম আক্কাস "গুরুতর আহত: নিরাপত্তা,গ্রেফতার  ও ন্যায়বিচারের দাবিতে বিশাল মানববন্ধন!!

নিজস্ব প্রতিবেদক |

এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। এ হামলার প্রতিবাদে ০৩ এপ্রিল বিকালে ঝাউতলা বাজারে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। হাজারো মানুষ এতে অংশ নেন এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী ১০টির অধিক মামলার আসামি  দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মামুন গং  মো. খাইরুল ইসলাম আক্কাসের উপর নৃশংস হামলা চালায়। । এতে বিক্ষুব্ধ সাধারণ নাগরিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা মানব বন্ধনে অংশগ্রহণ করে।
বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীর দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অপরাধমূলক কার্যক্রমের ভয়াবহ চিত্র। তারা বলেন, ওই ব্যক্তি বিভিন্ন অপরাধে জড়িত, যার মধ্যে রয়েছে—
✅ চাঁদাবাজি ও দখলদারি
✅ সাধারণ মানুষকে হুমকি ও   ভয়ভীতি দেখানো
✅ মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষকতা
✅ নিরীহ মানুষের ওপর প্রকাশ্যে সশস্ত্র হামলা।

নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল মানব বন্ধনে উপস্থিত থেকে তার বক্তব্যে বলেল  'খাইরুল ইসলাম আক্কাস একজন সামাজিক মানুষ, সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি।  তার উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রাকাশ করছি। আমার ইউনিয়নে সন্ত্রাসী,মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারীর কোন ঠাই নাই। অনতি বিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।

স্থানীয় ইউ পি সদস্য আ: জলিল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "আমরা দিনের আলোতেও নিরাপদ নই। আমাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। প্রশাসন কবে আমাদের কষ্ট বুঝবে?
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা হাতে বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ধারণ করেন, যেখানে লেখা ছিল-

“সন্ত্রাসী মুক্ত সমাজ চাই, অপরাধীদের শাস্তি  চাই”
"সন্ত্রাসীদের কাল হাত, ভেংগে দাও গুড়িয়ে দাও।"

উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছেন, যদি দ্রুত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে তারা আরও বড় আন্দোলনে যাবেন।
মানববন্ধনের আয়োজকরা বলেন, “এটা কোনো একদিনের ঘটনা নয়। বছরের পর বছর আমরা এই ভয়াবহতা সহ্য করছি। প্রশাসন যদি এবারও নিরব থাকে, তাহলে আমরা লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি দেব।”

এই প্রতিবাদ কর্মসূচি এলাকার মানুষকে একত্রিত করেছে এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শক্তি জুগিয়েছে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—
প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামী সপ্তাহে আরও বড় প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। স্থানীয় পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দাবি জানিয়ে গণস্বাক্ষর অভিযান পরিচালিত হবে।

মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসীর একটাই বার্তা—অপরাধীর বিচার হোক এবং আইনের শাসন নিশ্চিত হোক। তারা আশাবাদী যে প্রশাসন এবার তাদের কষ্টের কথা শুনবে এবং অপরাধীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির মুখোমুখি করবে।
"আমরা সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ চাই। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করো!"—এই শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে মানববন্ধনের পুরো প্রাঙ্গণ।

Anowarul Islam Islam
Anowarul Islam Islam 5 Monate vor
দ্রুত বিচারের আওয়তায় আনা হোক
0 0 Antworten
Zeig mehr