পাশাপাশি তাকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আনচেলত্তির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ওই সময় ইমেজ স্বত্ব থেকে পাওয়া আয় কর কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন রেখেছিলেন তিনি।
আদালতের শুনানিতে আনচেলত্তি দাবি করেন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার ইমেজ স্বত্ব থেকে আয়ের ওপর কর দেওয়ার বিষয়টি তাকে জানাননি। ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবেই তিনি কর ফাঁকিতে জড়িয়ে পড়েছেন।
যদিও আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন, তবে স্পেনের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রথমবারের মতো দণ্ডপ্রাপ্ত এবং এক বছরের নিচে সাজাপ্রাপ্তদের সাধারণত কারাগারে যেতে হয় না। ফলে আনচেলত্তিকেও জেলে যেতে হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আনচেলত্তির আইনজীবী শুরু থেকেই তাকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন। তবে মামলার বাদী পক্ষ চার বছর নয় মাসের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দাবি করেছিল। বর্তমানে ব্রাজিল দলের দায়িত্বে থাকা এই কোচ দ্বিতীয় মেয়াদে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হয়ে আসার পর আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন মামলাটির শুনানিতে।