জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সমাবেশে বিএনপির রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে কলকাতায় বসেই বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের রক্তে হাত রাঙানো ফ্যাসিস্ট শাসক শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েও ষড়যন্ত্র বন্ধ করেননি। তিনি কলকাতায় একটি অফিস খুলে সেখান থেকেই বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র পরিচালনা করছেন।
৮ আগস্ট (শুক্রবার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি বলেন, "শিশু-কিশোর, ছাত্র-জনতার রক্ত পান করে জনতার ঢেউয়ের মুখে পড়েই পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। এখন কলকাতায় বসেই তিনি নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।"
রিজভীর ভাষ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা এতদিন যেসব অপকর্ম—লুটপাট, ঘুষ, টাকা পাচার করে এসেছেন, এখন সেগুলোর দায় সামলাতে পারছেন না। তাই পাশের দেশ থেকে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিচ্ছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, “যিনি বলতেন, দেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে, তিনি কেন পালালেন? তার অফিস আবার কলকাতায় কেন?”
বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার নির্যাতন থেকে কেউই রেহাই পাননি। বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী বিএনপি কর্মীরা সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হয়েছেন। "শেখ হাসিনা কেবল তার পরিবার এবং নাতি-নাতনিদের ভালোবাসতেন। দলের পছন্দের কিছু লোককে লুটপাট ও টাকা পাচারের সুযোগ দিয়েছিলেন," বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার গদি রক্ষা করতে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশকে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদে ভরপুর হিসেবে তুলে ধরেছেন। সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ছবি দেখিয়ে আন্তর্জাতিক সহানুভূতি আদায় করতে চেয়েছেন।
"শেখ হাসিনা দিনের ভোট রাতে করেছেন, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন। কিন্তু তবুও খালেদা জিয়া কখনো দেশ ছেড়ে পালাননি," বলেন রিজভী।
বিএনপির এই নেতার বক্তব্যে স্পষ্ট, তাদের মতে শেখ হাসিনা কৌশলে ভারতীয় মাটিতে বসে বাংলাদেশবিরোধী রাজনীতি চালিয়ে যেতে চান। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক শুরু হতে পারে।