অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাবনী আক্তার তারানা তিনজন তরুণকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড প্রদান করেন। এর মধ্যে হোটেলের রাঁধুনি শফিকুল ইসলাম (২৫)-কে তিন মাস এবং অপর দুজন, হোসেন (১৯) ও পাপন সূত্রধর (১৯)-কে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর তিন তরুণীকে মুচলেকা নিয়ে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন, কটিয়াদীসহ আশপাশের অনেক হোটেল গোপনে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে। এসব হোটেলের ভেতরে ছোট ছোট কক্ষে তরুণ-তরুণীদের অবাধ যাতায়াত লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয়দের দাবি, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অতি সহজেই এসব কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। পাশাপাশি বিবাহিত নারী-পুরুষরাও পরকীয়ার মতো অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
অভিযান পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাইদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। তিনি জানান, আটককৃত ছয়জনই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। অভিযানের সময় হোটেলের মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যায়, পরে হোটেলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার ভাষায়, “যুবসমাজকে অনৈতিক কাজে জড়াতে দেওয়া হবে না। সমাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সচেতনতা বৃদ্ধি, কিশোর-তরুণদের জন্য স্বাস্থ্যকর বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি এবং আইন প্রয়োগের কঠোরতা এই সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর হতে পারে।
কিশোরগঞ্জের সাম্প্রতিক এই অভিযান স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। তবে অনেকের মতে, শুধু অভিযান নয়, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং নিয়মিত নজরদারির মাধ্যমেই এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।