খুলনায় কৃষি ব্যাংকে চুরি: ঋণ প্রাপ্তির ব্যর্থতা থেকে অপরাধে জড়ালেন লেদমিস্ত্রিখুলনায় কৃষি ব্যাংকে চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ইউনূস শেখ আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। ঋণ প্রাপ্তিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি এই অপরাধে জড়ান।খুলনার রূপসা উপজেলায় কৃষি ব্যাংকের শাখায় চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত ইউনূস শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অনন্যা রায়ের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম তাঁকে আদালতে হাজির করেন। ইউনূস শেখ রূপসা উপজেলার নিকলাপুরের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন লেদমিস্ত্রি।ইউনূস জানান, ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ায় এবং ঋণ পরিশোধের উপায় না থাকায় তিনি কৃষি ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা লোনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ব্যাংক ম্যানেজার লোন না দেওয়ায় ব্যাংকে চুরি করার সিদ্ধান্ত নেন। গত শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে ব্যাংকে নিরাপত্তাকর্মী না থাকার সুযোগে তিনি লোহা কাটার মেশিন দিয়ে ছয়টি তালা কেটে ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে ভল্ট ভেঙে ১৬ লাখ ১৬ হাজার ৪৯৬ টাকা চুরি করেন।তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ইউনূস ওই ব্যাংক ভবনের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন এবং নিচতলায় তাঁর ওয়ার্কশপ ছিল। এই পরিচিত পরিবেশ এবং তাঁর লোহা কাটার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এই চুরির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। চুরির পর তিনি কিছু টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করেন এবং বাকি টাকা তাঁর বিছানার তোশকের নিচে লুকিয়ে রাখেন। পুলিশ পরে তাঁর কাছ থেকে ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৬০ টাকা জব্দ করে।রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, ইউনূস চুরির ঘটনার সব কিছু স্বীকার করেছেন এবং বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় তিনজন নিরাপত্তা প্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ইউনূসকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশের একটি দল চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করতে কাজ করছে। তবে সব টাকা এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।এই চুরির ঘটনা ব্যাংকিং খাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার করা উচিত এবং ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সহযোগিতামূলক মনোভাবের প্রয়োজন। এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে ব্যাংকিং নীতিমালায় পরিবর্তন আনা জরুরি।ট্যাগস: খুলনা, ব্যাংক চুরি, ঋণ, কৃষি ব্যাংক, অপরাধ
close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
খুলনায় কৃষি ব্যাংকে চুরি: ঋণ প্রাপ্তির ব্যর্থতা থেকে অপরাধে জড়ালেন লেদমিস্ত্রি..


Nenhum comentário encontrado