খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে তিনটি ধারালো অস্ত্রসহ মানিক হাওলাদার নামে এক যুবককে আটক করেছে সেনাবাহিনী। তার বিরুদ্ধে এর আগেও ৯টি মামলা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খুলনা শহরের আদালত প্রাঙ্গণে সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ঘটে এক নাটকীয় ঘটনা। সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় তিনটি ধারালো চাপাতিসহ আটক হন মানিক হাওলাদার (২৯) নামে এক যুবক। ঘটনাটি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১, ২ ও ৩ নম্বর আদালতের সামনের এলাকায় ঘটে।
আটক মানিক হাওলাদারের বাড়ি সোনাডাঙ্গা থানাধীন ছোট বয়রা এলাকার হাসানবাগে। তার বাবার নাম মোদাচ্ছের হাওলাদার। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা অপরাধে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
কেএমপির এডিসি কোর্ট প্রসিকিউশন মো. হুমায়ুন কবির জানান, দুপুরে আদালতের সামনে কয়েকজন যুবক মানিককে ঘিরে রাখে। সে সময় মানিক উপস্থিত পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। কোর্ট পুলিশ তাকে হেফাজতে নিলেও কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি আদালত চত্বরে পৌঁছে যায়।
সেনাসদস্যরা মানিকের পিঠে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে তিনটি ধারালো চাপাতি উদ্ধার করেন। ধারণা করা হচ্ছে, মানিক ও তার সহযোগীরা কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিল।
এডিসি হুমায়ুন কবির আরও বলেন, “মানিকের সঙ্গে আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী ছিল। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। তবে মানিক আদালত চত্বরে এসে আশ্রয় নিতে ব্যর্থ হয়।” আটককৃত মানিককে সেনাবাহিনী তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম জানান, ধারালো অস্ত্রসহ আটক মানিকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে। পুলিশের তথ্যমতে, মানিকের বিরুদ্ধে এর আগেও ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও হামলাসহ ৯টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মনে করছেন, এই অভিযান শুধুমাত্র অস্ত্র উদ্ধারই নয়, বরং এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে বড় ভূমিকা রাখবে। আদালত চত্বরের মতো সংবেদনশীল এলাকায় অস্ত্রসহ কাউকে ধরা পড়া জনমনে উদ্বেগ তৈরি করলেও দ্রুত তৎপরতায় বড় ধরনের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
খুলনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, তদন্তের মাধ্যমে মানিকের সহযোগীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। একই সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।