close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

খামারে হামলা চালিয়ে ৮০০ হাঁস লুট

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
A daring attack in Singra, Natore: miscreants looted 800 ducks from a farm, leaving the owner facing huge losses. Police confirmed a case has been filed and investigation is underway.

নাটোরের সিংড়ায় একটি হাঁসের খামারে দুঃসাহসিক হামলা চালিয়ে ৮০০ হাঁস লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। খামার মালিক আজমল হক মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পুলিশ তদন্তে নেমেছে।

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ঘটে গেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। উপজেলার ইটালি ইউনিয়নের তুলাপাড়া বাঁশবাড়িয়া গ্রামে একটি হাঁসের খামারে হামলা চালিয়ে প্রায় ৮০০ হাঁস লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত খামারির পরিবার আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে। স্থানীয় খামারি আজমল হকের খামারে যখন এ হামলা হয়, তখন তিনি এবং গ্রামবাসী সবাই পাশের গ্রামের বাসিন্দা এলাহী বক্সের জানাজায় অংশ নিচ্ছিলেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পার্শ্ববর্তী খোলাবাড়িয়া গ্রামের শায়বারের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন লোক খামারে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে খামারের দুই কর্মী বাবু ও শফিককে বেধড়ক মারধর করে এবং আটকে রাখে। এরপর জোরপূর্বক খামার থেকে ৮০০ হাঁস নিয়ে যায়।

খামারের কর্মী বাবু ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, “হঠাৎ কয়েকজন লোক খামারে ঢুকে হাঁস বের করতে শুরু করে। আমি বাধা দিলে আমাকে পানির ভেতর চেপে ধরে। প্রাণে বেঁচে গেছি কিন্তু আতঙ্কে আছি।” অন্য কর্মী শফি বলেন, “আমি নিজের চোখে দেখেছি শায়বার হাঁস তাড়াচ্ছে। পুলিশ আসার পরও সে স্বীকার করেছে যে হাঁস নিয়েছে, তবে ফেরত দিতে অস্বীকার করেছে।”

ক্ষতিগ্রস্ত খামারি আজমল হক জানান, প্রতিদিন তাঁর খামারের ৮০০ হাঁস থেকে প্রায় পাঁচশ ডিম উৎপাদন হতো। সেই হাঁস লুট হয়ে যাওয়ায় তিনি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “এই খামারই ছিল আমার পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস। হাঁসগুলো চলে যাওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।”

তবে অভিযুক্ত শায়বার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কারো হাঁস নিয়ে আসিনি। ওই ফার্মে আমার ছেলেরা গিয়েছিল শুধু।”

ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত খামারি বাদী হয়ে সোমবার রাতেই সিংড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয় গ্রামবাসী বলছে, এ ধরনের দুঃসাহসিক হামলা ও লুটের ঘটনায় তারা আতঙ্কে আছেন। খামার ব্যবসায়ীরা বলছেন, যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে পশুপালন ব্যবসার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

ফলে, হাঁস চুরির এই ঘটনাটি শুধু একটি পরিবারের ক্ষতি নয়, বরং পুরো এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এখন দেখার বিষয়, তদন্ত শেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কত দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং খামারি আজমল হক তাঁর হাঁস ফিরে পান কি না।

No comments found