রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো খারমা হামু দর্জি। বৈঠকে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া হয়।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো খারমা হামু দর্জি। সোমবার (২১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে গুলশানে বেগম জিয়ার বাসভবন 'ফিরোজা'তে এই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত হামু দর্জি বিএনপি চেয়ারপারসনের হাতে ফুল তুলে দেন এবং তাকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং তার সুস্থতা কামনা করেন। ভুটান-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এই সাক্ষাৎ নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বিশেষ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ও অনুপস্থিত থাকা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের এই সৌজন্য সাক্ষাৎকে অনেকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন। সাক্ষাৎকে ঘিরে গুলশানের ‘ফিরোজা’ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার।
এ সময় খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন না, তবে ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। প্রায় আধাঘণ্টা স্থায়ী এই সাক্ষাতে ব্যক্তিগত কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি কিছু কূটনৈতিক বিষয় নিয়েও আলাপ হয় বলে একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই সাক্ষাতের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "ভুটানের রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বেগম জিয়ার সঙ্গে। তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।"
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি বাংলাদেশে আরও নিবদ্ধ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদেশি কূটনীতিকদের এই ধরনের সাক্ষাৎ নতুন রাজনৈতিক বার্তা বহন করতে পারে।
এটি শুধু ভুটান-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়, বরং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও একটি স্পর্শকাতর বার্তা হতে পারে। বিশেষ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিএনপির কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি কৌশল হিসেবেও এই সাক্ষাৎকে দেখা যেতে পারে।
খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানের বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। বয়সজনিত নানা জটিলতায় তিনি নিয়মিত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিদেশি কূটনীতিকদের শুভেচ্ছা ও খোঁজখবর নেয়া তার রাজনৈতিক গুরুত্বকে আরও নতুনভাবে প্রকাশ করছে।