শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে তার নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে । প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিটন চাকমা ঘরে ব্যবহৃত একটি রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গিয়ে সরাসরি তার বুকের ওপর পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
ঘটনার পরপরই পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশী প্রগতি চাকমা বলেন, “হঠাৎ করে চিৎকার শুনে দৌড়ে যাই। দেখি রিটন মাটিতে পড়ে আছে। পরে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও আর বাঁচানো যায়নি।” গ্রামের চায়ের দোকান চালানোর পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য রিটন একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাও চালাতেন।
খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞান দত্ত ত্রিপুরা দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের সচেতন হতে হবে।”
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, “এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে আমি এখনো নিশ্চিত নই। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”
রিটন চাকমার মৃত্যুতে সাজেক পাড়া গ্রামে নেমে এসেছে গভীর শোক। আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, পরিশ্রমী ও শান্ত স্বভাবের কারণে সবাই তাকে খুব পছন্দ করতেন।