close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

কেউ বলতে পারছে না, কে দেশ চালাচ্ছে: জি এম কাদের

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Jatiya Party leader GM Quader claimed that no one can clearly say who is running the country, alleging that a “government within the government” is controlling Bangladesh.

জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশের অবস্থা এতটাই ভজকট যে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না, কে আসলে দেশ চালাচ্ছে। সরকারের ভেতর আরেক সরকার সক্রিয় রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

📰 রি-রাইট করা সম্পূর্ণ নিউজ

হেডলাইন (বাংলা, SEO–অপ্টিমাইজড):
কে চালাচ্ছে দেশ? সরকারের ভেতর আরেক সরকার থাকার অভিযোগ জি এম কাদেরের

শর্ট ডিসক্রিপশন (বাংলা):
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশের অবস্থা এতটাই ভজকট যে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না, কে আসলে দেশ চালাচ্ছে। সরকারের ভেতর আরেক সরকার সক্রিয় রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

Short Description (English):
Jatiya Party leader GM Quader claimed that no one can clearly say who is running the country, alleging that a “government within the government” is controlling Bangladesh.


ফুল নিউজ:

জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আজকের বাংলাদেশে শাসনব্যবস্থা এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না, কে আসলে দেশ পরিচালনা করছে। তার অভিযোগ, সরকারের ভেতরে আরেকটি অদৃশ্য সরকার সক্রিয় রয়েছে, যারা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ করছে এবং প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনায় প্রভাব বিস্তার করছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব মন্তব্য করেন তিনি। এ সমাবেশে দলের নেতা–কর্মীদের নামে দায়ের করা “মিথ্যা মামলা” প্রত্যাহার এবং আটক নেতাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়। পরে দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও তার বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

জি এম কাদের অভিযোগ করেন, সরকারি দলের ভেতরেই একাধিক অংশ গড়ে উঠেছে। কোনো নিবন্ধনবিহীন ছোট ছোট দলও সরকারি দলের ছত্রছায়ায় থেকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ–সুবিধা ভোগ করছে। তাদের দেওয়া বক্তব্য ও বিবৃতি সরকারের সিদ্ধান্তে বড় প্রভাব ফেলছে। বিএনপি এবং জামায়াতের মতো বড় দলগুলোও একইভাবে সুযোগ পাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এমনকি কখনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়া বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব না পাওয়া ছোট দলগুলোও সরকারি বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশে কার্যত কোনো বিরোধী কণ্ঠস্বর নেই। নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক রহস্য লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে—কেবল ওই অল্প কয়েকটি দলই কি সারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করে? দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এই অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করছে। অথচ তাদের মতামত কোনোভাবেই প্রতিফলিত হচ্ছে না।

জাতীয় পার্টি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র দাবি করে জি এম কাদের বলেন, এ কারণেই তাদের ওপর দমন-পীড়ন চলছে। একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারও শেখ হাসিনার শাসনামলের মতোই বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন করছে এবং নব্য ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে।

আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে জি এম কাদের বলেন, দেশে একটি সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ নেই। মানুষ ন্যায্য ভোটাধিকার ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছে, এমনকি প্রাণও দিয়েছে। কিন্তু আজ ন্যায়বিচারের পরিবর্তে দেশে অবিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই সরকারের নির্বাচনী সক্ষমতা নেই। প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করে ফেলেছে, যার ফলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। একদিকে মামলা দিয়ে কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে, অন্যদিকে দলীয় অনুগতদের নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হচ্ছে। তার মতে, প্রকৃত অবাধ নির্বাচনের জন্য সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাপার একাংশের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী, কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর, সাইফুদ্দিন আহমেদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার, এমরান হোসেন মিয়া, এইচ এম শাহরিয়ার, মহসিনুল ইসলামসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। এছাড়া ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান, মেহেরুন্নেসা খান ও মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ প্রমুখ।

সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, মনিরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদদীনসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

No comments found