রবিবার( ২০ মার্চ) দুপুরে রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিতভাবে এমন তথ্য জানান নুরুল আমীন নুরুর স্ত্রী ডেইজি আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী জানান, আমার স্বামী গত ১৭ মার্চ মাসে রাত ১১টার দিকে নিজ জমিতে সেচ কাজ শেষে বাড়ি ফিরে আসে। রাত প্রায় ১২ টার দিকে একই গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে রবিকুল আমার স্বামীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় রবিকুলের বাড়িতে আমতলা গ্রামের নিলু, ইদ্রিছ, আব্দুল জব্বার বাচ্চু, হাফিজুর রহমান ও হরিপুর গ্রামের আইন উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম অবস্হান করছিল। ওই রফিক গংদের সাথে আমার স্বামীর পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরুধ চলে আসছিল।
পরে এ ঘটনায় স্ত্রী ডেইজি আক্তার বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন । ডায়েরি করার সময় আমার বিবরণ মত থানার রাইটার তা লিপিবদ্ধ করে নি। যা আমার ডায়েরি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে। পরবর্তীতে নিখোঁজ ডায়েরি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়।
ওই মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আসামী করা হয়। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই শফিউল আলমকে অবহিত করার পরও আসামীদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ঘটনার ১৮ দিন পর নামীয় ৬নং আসামী হাফিজুর রহমানকে আমাদের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডায়েরিতে প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ না করায় আসামীকে রিমান্ড মন্জুর করেনি আদালত। একই কারণে ২ নং আসামী রফিক আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে। পুলিশের দায়িত্বহীনতার কারণে আসামীরা গ্রেপ্তার হয় নি। পুলিশের ভূমিকা না থাকায় ঘটনার একমাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও আমার স্বামী জীবিত বা মৃত উদ্ধার হয়নি। পুলিশের দায়িত্বহীনতার বিচার চাই। আমার স্বামীর অবর্তমানে সন্তানদের নিয়ে প্রতিনিয়ত আশঙ্কায় দিন কাটছি। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে আমার স্বামীর বর্তমান অবস্থা জানতে পারব এটা আমার বিশ্বাস।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যহত আছে।