close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

কেএমপি কমিশনারের অপসার‌ণের দাবিতে রুপসা সেতু ব্লকেড

Rudra Biswas avatar   
Rudra Biswas
খুলনা তে কেএমপি কমিশনারের অপসার‌ণের দাবিতে রুপসা সেতু ব্লকেড

কেএমপি কমিশনারের অপসার‌ণের দাবিতে রুপসা সেতু ব্লকেড

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণের দাবিতে সোমবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা। আজ মঙ্গলবার দুপুর ৩ টা থেকে রূপসা সেতুর টোল প্লাজা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ব্লকেড কর্মসূচি চলাকালে আন্দোলনকারীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

সরকার কেএমপি কমিশনারকে অপসারণ না করলে এখন থেকে ধাপে ধাপে আটটি থানা, উত্তর-দক্ষিণের উপকমিশনারের কার্যালয় ও সদর দপ্তর ঘেরাও সহ ধারাবাহিক ভাবে নানা রকম আন্দোলন কর্মসূচর মাধ্যমে খুলনা অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা কমিটির আহবায়ক তাসনুভ আহম্মেদ বলেন, সাধারণ মানুষের যখন সকল কিছুই সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যায় তখনই তিনি সাধারণ মানুষের পাশে আসেন এবং থাকেন। তিনি বলেন তার সংগঠনের ছোটখাটো নেতারাই যথেষ্ট জুলফিকার আলী হায়দারের মত ফ্যাসিস্ট পুলিশ কমিশনারকে অপসারণ করতে।

তিনি বলেন, এই ফ্যাসিস্ট পুলিশ কমিশনার সাবেক পতিত হাসিনা সরকারের আমলে চাটুকারিতা করেছে। এখন সে নতুন করে একটি সংগঠনের আর্শিরবাদ নিয়ে খুলনায় পুলিশ কমিশনার হিসাবে যোগদান করেছে। এই জুলফিকার আলী হায়দার এখন ঢাকায় গিয়ে বিভিন্ন দপ্তর ও গুটি কয়েক রাজনৈতিক নেতার কাছে ধর্ণা দিচ্ছে কেএমপি কমিশনার হিসাবে বহাল থাকার জন্য। যাতে করে অতিতের ন্যায় তার আত্মীয় স্বজনদের দিয়ে খুলনায় মেলা, জুয়াসহ নানা রকম অপকর্ম চালাতে পারে বলে তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।

সোমবার সন্ধ্যায় কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই আন্দোলন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ও খুলনা জেলার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি।

জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে যাঁদের খুলনায় বড় বড় জায়গায় বসানো হয়েছে, তাঁদের কেউ গত ১০ মাস যাবত খুলনার সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণকর কোনো কাজ করছেনা। খুলনাবাসীর প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। তাই এ সকল কর্মকর্তাদের খুলনা থেকে অপসারণ করতে হবে। খুলনা গত ১০ মাস যাবত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ, অসত্রধারী, খুনি আওয়ামী লীগার এবং পুলিশ লীগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্কতাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। তাঁদের শেল্টার দিচ্ছেন খুলনার এই পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার।

বাপ্পি আরো বলেন, খুলনার কতিপয় নেতারা কয়েকজনকে ভূয়া সমন্বয়ককে সাজিয়ে যে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। খুলনার সাধারণ মানুষ জানে জুলাই আগষ্টের আন্দোলনের যারা ছিলো তারা এখনো এই ফ্যাসিস্ট পুলিশ কমিশনারে অপসারণের দাবিতে রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা না হওয়া পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীসহ সাধারণ সকল ছাত্র – জনতা ঘরে ফিরে যাবেনা বলে জানিয়েছেন। পরে গতকাল সোমবারে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়।

সোমবার বেলা তিনটা থেকে আন্দোলনকারীরা কেএমপির সদর দপ্তরের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। কর্মসূচিতে খুলনার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ও মহিলা দলের নেতা–কর্মীদেরও অংশ নিতে দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে পুলিশ পরে তাঁকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দুই দিন কেএমপির সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারসহ কয়েকজন কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপেই সুকান্তকে ছাড়া হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, এসআই সুকান্তর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর খুলনা সদর থানায় একটি মামলা হয়, যেখানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ আরও দুটি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসআই সুকান্তকে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ৩০ জুন এস আই সুকান্তকে খুলনার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানাগেছে।

 

রিপোর্টার 

রুদ্র বিশ্বাস 

খুলনা 

לא נמצאו הערות