কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির অতীত প্রেমের গল্প আবারও আলোচনায়। বন্ধু রাহীর দাবি, কেয়া পায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আফ্রিদির। তবে বিয়ের এক বছর না যেতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে তাঁর জীবনে।
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও আলোচিত ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদিকে ঘিরে আবারও শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। এবার বিষয়টি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত। অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের সঙ্গে আফ্রিদির প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছেন তাঁর বন্ধু রাহী। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে আলাপকালে রাহী এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন।
রাহীর ভাষ্য অনুযায়ী, “আমি শুনেছি পায়েল আপুর সঙ্গে তৌহিদ আফ্রিদির সম্পর্ক ছিল। আমি অনেক আগেই এই বিষয়ে জানতাম। শুধু এটুকুই বলতে পারি।” তাঁর এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ঝড় ওঠে।
এর আগেও তৌহিদ আফ্রিদির প্রেমঘটিত গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। বিশেষ করে অভিনেত্রী দিঘীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নানা কথা প্রচলিত ছিল। তবে প্রতিবারই আফ্রিদি সেই সম্পর্ককে শুধুই বন্ধুত্ব বলে দাবি করতেন। এবার জানা গেল, অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের সঙ্গেও তাঁর প্রেম ছিল, যা দীর্ঘদিন ধরেই গোপন ছিল।
কিন্তু প্রেম-প্রণয়ের গুঞ্জন পেরিয়ে তিনি নতুন জীবনে পা রাখেন। গত বছরের নভেম্বরে রিসা নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন আফ্রিদি। তবে বিবাহিত জীবনের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই নেমে আসে বড় ধরনের বিপর্যয়। গত রাতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আটকের সময় আফ্রিদি নিজেই জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা।
তবে ব্যক্তিগত জীবনের চেয়ে বর্তমানে তাঁর রাজনৈতিক বিতর্কই বেশি আলোচনায়। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রোসিকিউটর মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন জানান, তৌহিদ আফ্রিদি লাইভে এসে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উস্কানি দেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুধু তাই নয়, আফ্রিদির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডিভাইসে ভয়ংকর তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। সেগুলো ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হবে। পরীক্ষার পর জানা যাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কারা কীভাবে ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন এবং আন্দোলন দমনে কী ধরনের যোগসাজশ ছিল।
সব মিলিয়ে তৌহিদ আফ্রিদির জীবন এখন চরম অনিশ্চয়তায় ঘেরা। একদিকে অতীত প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসা, অন্যদিকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া—সব মিলিয়ে তাঁর ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত জীবনে তৈরি হয়েছে অন্ধকার অধ্যায়। অনেকেই বলছেন, একজন জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের এই হঠাৎ পতন সমাজ ও তরুণ প্রজন্মের জন্য সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে।