close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

কালিগঞ্জে প্রবাসী নারীর ছবি বিকৃতির অভিযোগে থানায় মামলা..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
কালিগঞ্জে প্রবাসী নারীর ছবি বিকৃত করে ছড়ানোর অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় এক প্রবাসী নারীর ছবি ও ভিডিও বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভুক্তভোগীর মা মোছাঃ লুৎফর নেছা বেগম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে অভিযুক্ত হিসেবে কালিগঞ্জ উপজেলার পানিয়া গ্রামের আব্দুল আলিম এবং তার সহযোগী জাহিদ হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, অভিযুক্তরা প্রবাসী নারী হালিমা খাতুনের ছবি বিকৃত করে ফেসবুক ও টিকটকে ছড়াচ্ছে। এসব বিকৃত ছবিতে হালিমার শারীরিক অঙ্গভঙ্গিকে কুরুচিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া তার ছবি দেব-দেবীর মূর্তি এবং মাদকদ্রব্যের ছবির সঙ্গে জোড়া দিয়ে অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি করা হচ্ছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা হালিমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ছবিও বিকৃত করে ছড়াচ্ছে। অভিযুক্ত আব্দুল আলিমের সাথে হালিমার ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে আলিম হালিমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো, যা দেড় বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে হালিমা সৌদি আরবে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন এবং সেখান থেকে তার সন্তানদের লালন-পালন করছেন।

হালিমার মা লুৎফর নেছা বেগম অভিযোগে উল্লেখ করেন, “তালাকের পর থেকেই আলিম প্রতিশোধমূলক আচরণ শুরু করে। সে আমার মেয়ের ছবি বিকৃত করে মানসম্মান ক্ষুণ্ন করছে। এতে শুধু হালিমা নয়, আমাদের পুরো পরিবারের সামাজিক মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

এ বিষয় তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, “আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এদিকে, অভিযুক্ত আব্দুল আলিম ও তার সহযোগী জাহিদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে তারা এসব ঘটনার সাথে জড়িত নন। এই ঘটনার ফলে ভুক্তভোগী পরিবার চরম মানসিক চাপে রয়েছে এবং দ্রুত বিচার দাবি করছে। সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে এই ধরনের সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

לא נמצאו הערות