close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

কালিগঞ্জে এসএসসি কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসি ২০২৫-এর কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কালিগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এসএসসি ২০২৫-এর কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ। বুধবার (৩০ জুলাই ২০২৫) সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ বাছাড় এর সভাপতিত্বে এবং সহকারী শিক্ষক তুহিন হুদার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক খান আবুল বাশার, সহকারী শিক্ষক জি. এম. রায়হানুস সিদ্দিক, বাসুদেব ঘোষ, রুহুল কুদ্দুস, জিয়াউর রহমান, কনিকা সরকার এবং প্রধান অফিস সহায়ক এসএম ফজলুল রহমান।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, বর্তমান যুগে শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে ছাত্রীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠা অত্যন্ত অপরিহার্য। একজন শিক্ষার্থীর সফল ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকের যৌথ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা আরও বলেন, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রেখে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে হবে এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সবাইকে একসঙ্গে সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রধান অতিথি শেখ সাইফুল বারী সফু বলেন, "শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। যতদিন না একটি ছাত্রী তার শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করছে, ততদিন কোনোভাবেই তার বিয়ে দেওয়া উচিত নয়।" তিনি বাল্যবিবাহকে সামাজিক ব্যাধি আখ্যা দিয়ে বলেন, এর বিরুদ্ধে শিক্ষক, অভিভাবক এবং সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

শেখ সাইফুল আরও বলেন, "আমরা গর্বিত যে আমাদের বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষায় জেলার মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে, যা বিদ্যালয়ের জন্য এক গৌরবময় অর্জন।" অনুষ্ঠানে তিনজন কৃতী ছাত্রীকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। তাঁরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলায় প্রথম স্থান অর্জনকারী এবং জেলা দ্বিতীয় স্থান অধিকারী স্তুতি বিশ্বাস ইমি, রুবাইয়া ইসলাম এবং সুরাইয়া আক্তার, যারা সবাই জিপিএ-৫ (A+) অর্জন করেছে।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ মতবিনিময় হয়। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগ বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগাবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি করবে এবং তাদের শিক্ষাজীবনে অগ্রগতি এনে দেবে।

আলোচনা শেষে কৃতী ছাত্রীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি নতুন উদ্যম সৃষ্টি করেছে যা তাদের ভবিষ্যত শিক্ষা জীবনে নিত্যনতুন সাফল্য এনে দেবে।

No se encontraron comentarios