close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

কালিগঞ্জে ‘বন্ধন’ হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু: তদন্ত ও শাস্তির দাবি..

এস এম তাজুল হাসান সাদ avatar   
এস এম তাজুল হাসান সাদ
****

কালিগঞ্জে ‘বন্ধন’ হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু: তদন্ত ও শাস্তির দাবি

 

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ‘বন্ধন হাসপাতালে’ চরম চিকিৎসা অবহেলায় সদ্যোজাত এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেছে।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মো. মোস্তাকিম বিল্লাহ’র স্ত্রী মনিরা বেগমের প্রসব ব্যথা শুরু হলে গত ২৪ মে শনিবার বিকাল ৪টায় তাকে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ‘বন্ধন’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি নেয়ার সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সেবার আশ্বাস দিলেও সারারাত কোনো ডাক্তার বা নার্স সেবা দেননি, এমনকি বারবার অনুরোধের পরও শুধু একজন আয়া এসে দেখে যান।

 

ভবিষ্যৎ জটিলতার আশঙ্কা করে সিজারিয়ানের দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ জানায়, তখন কোনো চিকিৎসক উপস্থিত নেই। অবশেষে রাতভর প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা মনিরা বেগম ২৫ মে ভোর ৪টার পর এক নবজাতক সন্তান প্রসব করেন। তবে, জন্মের পরপরই হাসপাতালটিতে না ছিল প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম, না ছিল অক্সিজেন কিংবা দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক, যার ফলে শিশুটি মৃত্যুবরণ করে।

 

শিশুর বাবা মোস্তাকিম বিল্লাহ জানান, অবহেলার অভিযোগ তুলতেই হাসপাতালের পরিচালক ও কর্মীরা তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং জোর করে হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য করেন। তিনি বলেন, “এটি একটি নামমাত্র হাসপাতাল। চিকিৎসক, নার্স বা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে এটি শুধু একটি প্রতারণামূলক প্রতিষ্ঠান। এর তদন্ত হওয়া জরুরি।”

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

 

হাসপাতালের পরিচালক আমগীর হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “প্রসূতি স্বাভাবিকভাবে মৃত সন্তান প্রসব করেছে।” তবে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকের নাম জানতে চাইলে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি।

 

এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ বেসরকারি হাসপাতালের বেহাল অবস্থা ও নজরদারির অভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

No comments found