close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

কাইচতলীতে যুবক অপহরণ ও নির্যাতন, মুক্তিপণ দাবি—এক আসামি গ্রেপ্তার..

MD Hasan avatar   
MD Hasan
গ্রেপ্তার আসামি আলমগীর হোসেন (৪৩)। বান্দরবান সদর থানা পুলিশ তাকে কাইচতলী এলাকার অপহরণ ও নির্যাতন মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে।..



বান্দরবান প্রতিনিধি


বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের কাইচতলী এলাকায় এক যুবককে অপহরণ করে রাতভর নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় পুলিশ আলমগীর হোসেন (৪৩) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর রাত প্রায় ১১টা ৪৫ মিনিটে কাইচতলী এলাকা থেকে ভিকটিমকে তুলে নেয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র। রাতভর তাকে বিভিন্ন স্থানে মারধর, হাত–পা বেঁধে নির্যাতন করা হয় এবং পরিবারকে ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এতে ভুক্তভোগী গুরুতর আহত হন।

ভুক্তভোগী হলেন রামুর নাপিতের চর এলাকার আবুল মনছুর (২৪)। পরিবারের মাধ্যমে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান তিনি। পরে ৪ ডিসেম্বর বান্দরবান সদর থানায় তিনি মামলা দায়ের করেন।


মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়।
আজাহারে উল্লেখিত এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন—

মোহাম্মদ ওমর ফারুক রনি (২৫)

রাশেদুল ইসলাম অনিক (২১)

আলমগীর হোসেন (৪৩) (গ্রেপ্তার)

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (৩২)

নুরুল ইসলাম ওরফে বাবুল (৩৩)

মিজান (২৮)


স্থানীয়রা জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে এর আগেও একই ধরনের অভিযোগ ও মামলা রয়েছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী

সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের টোলপয়েন্টে দায়িত্বে থাকা স্থানীয় বাসিন্দা মো. সেলিম উদ্দিন বলেন,
আমি রাতভর টোল আদায়ের দায়িত্বে ছিলাম। অনুমান রাত ১টার দিকে তুলাতুলি বাজারের দিকে চারজন অপরিচিত লোককে হেঁটে আসতে দেখলাম। বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে তারা জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসেছে। দুই মিনিট পর রনি ও অনিককে দেখি। তারা আমার এলাকার, তাই তাদের চিনি বিদায় আর কথা বাড়াইনি।



এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন,
মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত একজন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।




No comments found


News Card Generator