কাচারিপাড়া বটতলায় একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেছে যেখানে উইজডম স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী মার্জিয়া শরিফা তামান্না আত্মহত্যা করেছে। মার্জিয়ার বয়স মাত্র ১১ বছর, সে তার পরিবারের সঙ্গে কাচারিপাড়ায় বাস করতো।
জানা গেছে, অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে তার মা তাকে শাসন করেন। এই শাসনের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে মার্জিয়া জিদের বসে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এই ঘটনা ঘটে গতকাল সকালে, আনুমানিক ১১:৩০ থেকে ১২:০০টার মধ্যে।
মার্জিয়ার পিতা আরিফ বেপারি জানিয়েছেন, তার মেয়ে অত্যন্ত মেধাবী ছিল এবং পড়াশোনায় মনোযোগী ছিল। তবে সম্প্রতি তার মোবাইল ব্যবহারের সময় বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা পরিবারের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তার মা তাকে মোবাইল ব্যবহারের সীমারেখা নির্ধারণ করতে শাসন করেছিলেন।
এই ঘটনাটি শুধু একটি পরিবারকেই নয়, বরং পুরো সমাজকে নাড়া দিয়েছে। ছোটদের মাঝে মোবাইল আসক্তি এবং প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে যা মার্জিয়ার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের উপর প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। এই ধরনের ঘটনাগুলি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমাদের পরিবার ও শিক্ষকদের আরও জ্ঞান এবং সংবেদনশীল হতে হবে।
মার্জিয়ার আত্মহত্যা একটি সামাজিক সংকেত হিসেবে উঠে এসেছে এবং এটি আমাদের সমাজের শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করার আহ্বান জানায়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, শিশুদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করা এবং তাদের মানসিক চাহিদাগুলি বোঝার চেষ্টা করা উচিত।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের জন্য পরিবার এবং সমাজের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। মোবাইল আসক্তি থেকে শিশুদের রক্ষা করতে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।