বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এক আবেগঘন ও প্রতিবাদী স্ট্যাটাসে জানান, “জুলাইয়ে শহীদ হতে না পারাটা আমার জন্য আফসোসের”। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন, যা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় তোলে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ স্ট্যাটাসে লিখেছেন
গতবছর জুলাইতেও আমাদের হত্যার সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিল একজন। এদেশের জনগণ তার পরিণতি কী করেছে তা সবারই জানা।
এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তাঁর ও তাঁর সহকর্মীদের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত হামলার হুমকি ছিল। এবং সে হুমকির বাস্তব প্রতিফলন কীভাবে পাল্টে গেছে, তা জনগণের প্রতিরোধ শক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তুলে ধরেছেন।
৩৬ জুলাই শহীদ হওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলাম। শাহাদাতের সুযোগ এলে কখনো পিছপা হবো না।
এখানে তিনি একটি প্রতীকী ভাষায় তার সাহসিকতার বার্তা দিয়েছেন। মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েও দেশপ্রেমে অটল থাকার সংকল্পই উঠে এসেছে এই বক্তব্যে।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন
জুলাই এদেশে লক্ষ-কোটি বিপ্লবীর জন্ম দিয়েছে।
এই মন্তব্যে তিনি জুলাই মাসকে শুধুই একটি সময়কাল নয়, বরং ইতিহাসের এক চিরন্তন প্রতিরোধ-প্রতিজ্ঞার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এক মাস নয়, এক বিপ্লবের নাম জুলাই — এমন একটি আবেগঘন ব্যাখ্যা উঠে এসেছে উপদেষ্টার স্ট্যাটাসে।
আমি বা আমরা না থাকলেও ক্ষতি নেই, আমাদের ভিশন ক্ষণস্থায়ী জীবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম, শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এই বিপ্লবীদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।”
এ বক্তব্যে স্পষ্ট যে, ব্যক্তি আক্রমণে তাকে ঠেকানো যাবে না। কারণ তাঁর লড়াই কেবল একটি দেহ বা নামের জন্য নয় — বরং একটি আদর্শ, একটি ভবিষ্যতের জন্য।
স্ট্যাটাসের একেবারে শেষে তিনি লেখেন, একটারে মারি, একটাই যায়; বাকিডি যায় না স্যার। ভুলে গেছেন?”
এই বাক্যটি স্পষ্টতই একটি চ্যালেঞ্জ। আগ্রাসনের ইতিহাস ভুলে গেলে সেই ভুলের চড়া মূল্য দিতে হবে — এমন একটি প্রতিবাদী সুর ঝরে পড়ে তাঁর এই বাক্যে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার স্ট্যাটাসটি কেবল একটি ফেসবুক পোস্ট নয়। এটি যেন এক যুদ্ধ ঘোষণার মতো — যুদ্ধ সত্য ও সাহসের পক্ষে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। যেখানে নিজের শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, এই লড়াইয়ে কারো পিছু হটার জায়গা নেই।
তিনি নেই তো কী! তাঁর চিন্তা, আদর্শ ও ভিশন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের রক্তস্নাত বাস্তবতায় অগ্রণী হয়ে থাকবে — এটাই এই স্ট্যাটাসের মূল সুর।