close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

জুলাই ঘোষণাপত্র দায়সারা মনে হয়েছে: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জুলাই ঘোষণাপত্র যথেষ্ট দায়সারা মনে হয়েছে। এক বা দুটি পার্টিকুলার দলকে খুশি করার আকাঙ্ক্ষা এখানে ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
..

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে প্রাণ ও আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। তিনি দাবি করেন, এটি এক বা দুইটি দলকে খুশি করার জন্য দায়সারা মনোভাবে তৈরি হয়েছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত জুলাই ঘোষণাপত্রকে ‘দায়সারা’ এবং ‘প্রাণহীন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তাঁর মতে, এই ঘোষণাপত্রে যে আন্তরিকতা, ভাষার দৃঢ়তা এবং রাজনৈতিক স্পষ্টতা থাকা প্রয়োজন ছিল, তা অনুপস্থিত। বরং এটি তৈরি হয়েছে এক বা দুইটি নির্দিষ্ট দলকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে, যা গণআন্দোলনের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার ফুয়াদ এই মন্তব্য করেন। জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এবি পার্টি।

তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনে আমাদের যে সপ্তাহের পর সপ্তাহ আলোচনা হয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলো যে রিপোর্ট দিয়েছে, জুলাই সনদ নিয়ে আমরা যে বিষয়গুলো আলোচনা করেছি — সেগুলোর কোনোটি এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়নি। ঘোষণাপত্র এমনভাবে তৈরি হয়েছে যেন এটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতার অংশ। এতে যে প্রাণশক্তি ও জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন আমরা চেয়েছিলাম, তা অনুপস্থিত।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, ঘোষণাপত্রে একাধিক ত্রুটি রয়ে গেছে। জনগণ, বিশেষ করে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা সব শক্তি অনলাইনে এই ঘোষণাপত্র নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। জুলাই সনদ নিয়ে যদি আমরা সবাই একমত হতে পারি এবং সেই সনদের মূল ভূমিকা এখানে যুক্ত করা হয়, তাহলে কিছুটা হলেও ঘাটতি পূরণ হতে পারে।

তিনি উল্লেখ করেন, ঘোষণাপত্রে যে দরদ এবং রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত ছিল, তা বাক্যে, শব্দে বা ভাষায় পাওয়া যায়নি। বরং এতে এক ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ও শীতলতা বিরাজ করছে। “আমরা আশা করেছিলাম, এই ঘোষণাপত্র হবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন, কিন্তু বাস্তবে এটি জনমানসে কোনো উচ্ছ্বাস বা বিশ্বাস সৃষ্টি করতে পারেনি,” যোগ করেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জুলাই ঘোষণাপত্র ঘিরে ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা চলছে। আন্দোলনপন্থী অনেক দল ও সংগঠন মনে করছে, এটি এক ধরনের রাজনৈতিক আপসের ফল, যা মাঠের আন্দোলনের গতি কমিয়ে দিতে পারে। এবি পার্টির মতো অন্যান্য দলও মনে করছে, ঘোষণাপত্রের ভাষা ও বক্তব্যে দৃঢ় অবস্থান না থাকায় এটি গণমানসে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে ব্যারিস্টার ফুয়াদ আহ্বান জানান, ঘোষণাপত্র পুনর্বিবেচনা করে তাতে জনগণের দাবি, আন্দোলনের লক্ষ্য এবং ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশগুলো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। তিনি বলেন, “আমাদের যদি সত্যিই পরিবর্তন আনতে হয়, তবে ঘোষণাপত্রে প্রাণ, ভাষায় দৃঢ়তা, এবং জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন থাকা বাধ্যতামূলক। তা না হলে এটি কেবল ইতিহাসের আরেকটি ব্যর্থ দলিল হয়ে থাকবে।”

No comments found