বুধবার (২৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিনিয়াপলিসের অ্যানানসিয়েশন ক্যাথলিক চার্চ ও স্কুলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কালো পোশাকে সজ্জিত বন্দুকধারী হাতে রাইফেল নিয়ে হঠাৎ গির্জার জানালা দিয়ে গুলি চালাতে শুরু করেন। তখন প্রার্থনা চলছিল এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভেতরে অবস্থান করছিল।
পুলিশ প্রধান ব্রায়ান ও’হারা সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারীর কাছে একটি রাইফেল, একটি শটগান এবং একটি পিস্তল ছিল। “শিশু ও উপাসকদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে। এটি একেবারেই পরিকল্পিত সহিংসতা।
গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে জানা যায়, বন্দুকধারী নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা তিন এবং আহতের সংখ্যা অন্তত ২০ জন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ। মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি) ক্রিস্টি নোয়েম এ হামলাকে “ভয়াবহ” আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তার মন্ত্রণালয় ঘটনাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
অ্যানানসিয়েশন ক্যাথলিক স্কুলটি একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রি-স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩৯৫ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ধর্মীয় স্কুলটি সোমবার গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষে আবারও ক্লাস শুরু করেছিল। হামলার দিন সকালে শিক্ষার্থীরা পিটি ক্লাসের জন্য জড়ো হয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনা নতুন নয়। বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক থাকলেও এ ধরনের সহিংসতা থামছে না।