close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন এখনই, বছরের শেষের আগেই থামুক রক্তপাত..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Ukraine’s intelligence chief Kirill Budanov urges for a ceasefire before year’s end, warning of worsening battlefield setbacks and urging US-Russia cooperation for peace.

চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি চায় বছরের শেষ হওয়ার আগেই। গোয়েন্দা প্রধান কিরিল বুদানভ মনে করেন, দ্রুত সমঝোতা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা বাড়তেই থাকছে। রুশ হামলার মুখে ইউক্রেনের সৈন্যদের পিছু হটার খবর যেমন বাড়ছে, তেমনই বেড়েছে নতুন সেনা সংগ্রহে সংকট। এমন অবস্থায় ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান কিরিল বুদানভ চলতি বছরের মধ্যেই যুদ্ধবিরতির তাগিদ দিয়েছেন।

ব্লুমবার্গে শুক্রবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ থামানো দরকার। এই বছর শেষ হওয়ার আগেই যুদ্ধবিরতি দরকার এবং এটা বাস্তবসম্মত।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে অন্তত তিনটি পক্ষের সক্রিয় সহযোগিতা দরকার—ইউক্রেন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র। আমরা সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারব।

এই মন্তব্য এসেছে এমন এক সময়, যখন ইউক্রেনীয় বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে একের পর এক ব্যর্থতায় পর্যুদস্ত। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের অভিযান ২০২৪ সালে ব্যর্থ হয়, যার ফলে বিপুল প্রাণহানি ও সম্পদ ধ্বংস হয়।

এছাড়া নতুন সেনা নিয়োগেও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী চরম সংকটে পড়েছে। এতে ইউক্রেনের যুদ্ধ সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

অন্যদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে। মস্কো বলেছে, যুদ্ধ থামাতে হলে কিয়েভকে কিছু শর্ত মেনে নিতে হবে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • রুশ নিয়ন্ত্রণে থাকা ভূখণ্ড থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার

  • ইউক্রেনের সব ধরনের সামরিক মোতায়েন বন্ধ

  • বিদেশি সামরিক সহায়তা পুরোপুরি বন্ধ

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কড়া ভাষায় বলেন, “ইউক্রেন এই প্রস্তাব দিয়ে আসলে নিজের বাহিনীকে সময় দিচ্ছে পুনরায় সংগঠিত হতে এবং অস্ত্র সংগ্রহে। এটা আমরা মেনে নেব না।”

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “যুদ্ধবিরতির নামে ইউক্রেনে যদি কোনো ন্যাটো শান্তিরক্ষী সেনা প্রবেশ করে, তাহলে রাশিয়া তাও মেনে নেবে না।”

এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, তুরস্কে যুদ্ধ সংক্রান্ত তৃতীয় দফা সরাসরি আলোচনা প্রস্তুতি চলছে।

অন্যদিকে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বলেন, “আলোচনার আগে বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বাস্তবায়ন করতে হবে।” তিনি ইস্তান্বুলে ২ জুন হওয়া বন্দি বিনিময়ের চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

এখন দেখার বিষয়—যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হয় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন আসলে কোনো সময়ের মধ্যে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে কিনা। যুদ্ধবিরতি যদি বাস্তবায়িত না হয়, তবে এই রক্তক্ষয়ী সংঘাত কেবল বিস্তৃতই হবে।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি