যশোরের নাশকতা মামলা থেকে বিএনপির অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সহ বিএনপির ৩৯১ নেতাকর্মী খালাস..

সুভাষ মজুমদার avatar   
সুভাষ মজুমদার
নাশকতা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ যশোর জেলা ব..

নাশকতা মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, যশোর জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ যশোর জেলা বিএনপির ৩৯১জন নেতাকর্মী।বৃহস্পতিবার (২২ মে) পৃথক দুটি আদালত নাশকতার পৃথক দুটি মামলায় এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর হযরত মোহাম্মদ (সা:)কে নিয়ে কটূক্তি ও ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আনার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের তৎকালীন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিএনপি। এসময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবুসহ আটজনকে আটক করে।ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, দেলোয়ার হোসেন খোকন, মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, আব্দুস সালাম আজাদ, হাজী আনিছুর রহমান মুুকুল, জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদলের শীর্ষ নেতা, উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ১৭৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে নাশকতার মামলা দায়ের করে।আদালত সূত্র জানায়, ওই মামলাটি যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতে বিচারাধীন ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন স্বাক্ষীদের হাজির হওয়ার নির্দেশনা দিলেও তারা আদালতে উপস্থিত হননি। আদালতের কাছে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে বৃহস্পতিবার (২২ মে) এ মামলা থেকে সকল আসামিকে অব্যাহিত দেন বিচারক এসএম আশিকুর রহমান।এছাড়া, ঝিকরগাছার পৃথক আর একটি মামলায় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আরও ২১৫জন নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন পৃথক আর একটি আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নাশকতার অভিযোগে ঝিকরগাছা থানার তৎকালীন এসআই সৈয়দ কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ওই ২১৫ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলাটি তদন্ত করে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে চার্জশিটও জমা দেন।মামলাটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতে বিচারাধীন ছিল। বৃহস্পতিবার এ মামলার চার্জগঠনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সকল আসামিকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জুয়েল অধিকারী।

Nema komentara


News Card Generator