রোববার (১০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটায় যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি তারেক হাসান মুন্না, নগর বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রবিউল ইসলাম বলেন, গত ৪ আগস্ট বারান্দীপাড়া ঢাকারোড এলাকার বাসিন্দা জেসমিন বেগমের সঙ্গে এক ইজিবাইক চালকের বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য জেসমিন নিজেই যুবদল নেতা তারেক হাসান চুন্নাকে ডেকে নেন। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছালেও জেসমিন সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হননি এবং পরে তিনি ও তার সহযোগীরা চুন্না ও তার সঙ্গে থাকা অন্যদের ওপর হামলা চালান। এতে চুন্না আহত হন।
রবিউল দাবি করেন, হামলার ঘটনা আড়াল করতে জেসমিন পরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ তোলেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, যশোরের একটি মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জেসমিন জড়িত এবং ওই সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য মুরাদ তার আশ্রয়দাতা। তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁন, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন আরাফাত, ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুদুল বারী কাক্কু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন সরদার উজ্জ্বল এবং নগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন।
এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টায় একই স্থানে জেসমিন বেগম সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি তারেক হাসান চুন্না তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় চুন্না তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান