সূত্র জানায়, গত কয়েক মাস ধরে জনি ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছিল। এর মধ্যে সর্বশেষ ৪ কোটি টাকার একটি বড় অঙ্কের চাঁদা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং মামলার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
অভিযানের আগে কয়েকদিন ধরে জনির অবস্থান শনাক্তে আধুনিক প্রযুক্তি ও মানব গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করা হয়। অবশেষে ভোররাতে শহরের একটি ভাড়া বাসায় তাকে ঘিরে ফেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারের সময় জনি পালানোর চেষ্টা করলে দ্রুত তাকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তার সহযোগীও একই সময় ধরা পড়ে।
যৌথ বাহিনী জানায়, আটক আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি, মোবাইল ফোন ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত বিভিন্ন প্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জনি চাঁদাবাজি চক্রের সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে।
যশোর অভয়নগরের ব্যবসায়ী মহল এই অভিযানের সাফল্যে স্বস্তি প্রকাশ করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং জনমনে নিরাপত্তাবোধ বেড়েছে।