ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও মুজিববাদকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দিয়েছেন, জনগণের জন্যই হবে নতুন সংবিধান। তরুণদের হাত ধরেই গড়ে উঠবে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “এই দেশ জনগণের, তাই নতুন রাষ্ট্র গঠনের জন্য একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে, যা হবে গণমুখী এবং কল্যাণনির্ভর।”
রোববার (২৭ জুলাই) দুপুর ১২টায় নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া কালেক্টরেট মাঠে এক সংক্ষিপ্ত জনসভায় এ বক্তব্য দেন তিনি। সেখানে উপস্থিত হাজারো মানুষকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “মুজিববাদ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমরা একটি স্বাধীন মানসিকতা সম্পন্ন রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে, তবে জনগণ আর এই নিপীড়ন মেনে নেবে না।”
নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থান এ সরকারের পতনের সূচনা করেছে। “এই অভ্যুত্থান দেখিয়ে দিয়েছে— দেশের তরুণরা স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। এখন দরকার একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ এবং রাষ্ট্র। এর জন্য চাই নতুন সংবিধান,” বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি গণপরিষদ নির্বাচন জরুরি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সরাসরি তাদের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র কাঠামোর রূপরেখা দিতে পারবে। এটি কোনো দলের সংবিধান হবে না, এটি জনগণের নিজস্ব স্বপ্ন বাস্তবায়নের সংবিধান হবে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারি, যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সারজিস আলম। বক্তৃতা শেষে নেতারা শহীদ মিনার অভিমুখে পদযাত্রা করেন। এরপর পুনরায় মাঠে ফিরে সমাবেশের সমাপ্তি টানেন এবং সেখান থেকে শেরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
নেতারা এদিন বারবার জনগণের অংশগ্রহণ, স্বতন্ত্র রাষ্ট্রচিন্তা এবং তরুণদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। বক্তৃতাগুলোতে বারবার উঠে আসে একটি স্বাধীন, স্বচ্ছ ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র কাঠামোর প্রত্যয়।
তারা সবাই বলেন, এই আন্দোলন শুধুমাত্র সরকারের বিরুদ্ধে নয়; এটি একটি নতুন রাষ্ট্রচিন্তা এবং নতুন রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার লড়াই।