গোলাম মাওলা রনি বলছেন, আওয়ামী লীগ শহীদ জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা এক নির্মম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন।
জিয়াউর রহমানের সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে উত্থান ও তা ঘিরে আওয়ামী লীগের দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, "শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অর্জন এবং দেশ গঠনে তার ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত, আর সেটাই আওয়ামী লীগের গাত্রদাহের কারণ।
সম্প্রতি তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে এক রাজনৈতিক আলোচনায় রনি বলেন, "আওয়ামী লীগ বহু বছর ধরেই চেষ্টা করছে শহীদ জিয়াকে বিতর্কিত করার। কিন্তু বাস্তবতা হলো—জিয়ার সততা, শাসনকৌশল, ব্যক্তিত্ব এবং রাষ্ট্রনায়কোচিত আচরণ তাকে ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল মাইলফলক করে রেখেছে।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, “জিয়াউর রহমান একজন মিতব্যয়ী, মৃদুভাষী, এবং নীতিবান মানুষ ছিলেন। তিনি কখনো নিজের স্ত্রী, সন্তান বা পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশ হতে দেননি। এটাই তাকে অন্য রাজনীতিকদের থেকে আলাদা করে রেখেছে।” তিনি আরও বলেন, “আজকের বাংলাদেশে যেখানে রাজনৈতিক পরিবারবাদের দাপট, সেখানে জিয়া ব্যতিক্রম ছিলেন।
রনি বলেন, “একক প্রচেষ্টায় জিয়াউর রহমান যে দলটি (বিএনপি) গড়েছেন, তা আজও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে সক্রিয়। এটি একমাত্র দল যেটি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছে। এমনকি এরশাদ দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকলেও জাতীয় পার্টিকে কখনো বিএনপির সমকক্ষ করতে পারেননি।
তিনি মনে করেন, "একক নেতৃত্বে সফল একটি দল গঠন এবং তা শক্তিশালীভাবে টিকিয়ে রাখা আওয়ামী লীগের জন্য বরাবরই ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ তারা বারবার চেষ্টা করেও নিজেদের বাইরেও কাউকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে মেনে নিতে পারেনি।
রনি অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিকল্পিতভাবে ইতিহাস বিকৃতি, তথ্যচিত্র প্রোপাগান্ডা এবং মিথ্যাচার চালিয়ে শহীদ জিয়ার ইমেজ ধ্বংসের অপচেষ্টা করা হয়েছে। অথচ বাস্তবতা হলো, জিয়া একজন ক্যানভাসহীন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন—যিনি বিপদের মুখে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে গঠনমূলক পথে এনেছিলেন।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, “আমরা চাই না কেউ তাঁকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখুক। আমরা চাই, রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁকে নিরপেক্ষভাবে মূল্যায়ন করা হোক। কারণ জিয়া কোনো দলের নয়, দেশের একজন স্থপতি