বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসন থেকে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সম্প্রতি রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি। দলীয় সিদ্ধান্তে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানান ডা. ইরান। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি।
ডা. ইরান বলেন, “বিএনপির পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আমরা নির্বাচনে তাদের সঙ্গে যেতে প্রস্তুত। তবে এখনো আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। আপাতত লেবার পার্টির পক্ষ থেকে ১০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। তবে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা হলে মাত্র চারটি আসন আমরা চাইবো—পিরোজপুর-২, ঝালকাঠি-১, ফরিদপুর-২ ও ঢাকা-৬। ইতোমধ্যেই আমি ঝালকাঠি-১ আসনে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “২০০৭ সাল থেকে বিএনপির দুর্দিনে আমরা তাদের সঙ্গে রাজপথে ছিলাম। সব আন্দোলন-সংগ্রামে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে অংশ নিয়েছি। তাই আশা করি বিএনপি আমাদের অবদানকে মূল্যায়ন করবে।”
এ বিষয়ে লেবার পার্টির কাঁঠালিয়া উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মুফতি আরিফ বিন শহীদ বলেন, “ডা. ইরান একজন সংগ্রামী নেতা। তিনি হামলা-মামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন। আগামী নির্বাচনে আমরা তাকে ঝালকাঠি-১ আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। বাদামি-২ আসনেও তার প্রার্থীতা চূড়ান্ত হলে স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মোড় আসতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডা. ইরানের প্রার্থীতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে রাজনৈতিক সমীকরণ নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে। তার সঙ্গে বিএনপির সমঝোতা হলে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হবে। এতে করে নির্বাচনী পরিবেশ কতটা প্রভাবিত হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন এবং একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। তার এ সংগ্রামী ভূমিকাকে দলের নেতাকর্মীরা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি কীভাবে তার প্রচারণা পরিচালনা করবেন এবং কেমন প্রতিক্রিয়া পাবেন, তা সময়ই বলে দেবে।
অন্যদিকে, তার এ প্রার্থীতা ঘোষণা স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। ঝালকাঠি-১ আসনের জনগণ ডা. ইরানকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে কতটা আগ্রহী হবে, সেটি সময়ই নির্ধারণ করবে। তবে তার প্রার্থীতা বিএনপির সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা হলে নির্বাচন-পরবর্তী সমীকরণেও পরিবর্তন আসতে পারে।