জাতীয় দলে তার ফেরার গুঞ্জনও তাই জোরালো হচ্ছে। সেই গুঞ্জনের পালে এবার হাওয়া দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু।
শনিবার (১২ জুলাই) মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিঠু বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রেটেস্ট ক্রিকেটার হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। এখানে কোনো সেকেন্ড চয়েস নেই। তার জন্য দরজা সবসময় খোলা। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের, তারা বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে।’
জিএসএলে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচেই ঝড় তোলেন সাকিব। ব্যাট হাতে খেলেন ৩৭ বলে ৫৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস, পরে বল হাতেও নেন ৪ উইকেট মাত্র ১৩ রান দিয়ে। দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যের সুবাদে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচে হোবার্ট হ্যারিকেন্সের বিপক্ষে খুব একটা আলো ছড়াতে পারেননি। মাত্র ১০ বলে করেন ৭ রান, বল হাতে ৪ ওভারে দেন ৩৪ রান—কোনো উইকেটও পাননি।
তবুও ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের উপর ভরসা হারাচ্ছে না বিসিবির একটি অংশ। মিঠু আরও বলেন,
‘আগে কীভাবে চলেছে জানি না, কিন্তু এখন বর্তমান সভাপতি পুরো দায়িত্ব ক্রিকেট অপারেশন্স, টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের ওপর দিয়েছেন। তারা নিশ্চয়ই বিষয়টি বিবেচনা করবে।’
তবে জাতীয় দলে ফেরার প্রশ্নে মাঠের পারফরম্যান্সই একমাত্র বিবেচ্য নয়। সাকিবের বিরুদ্ধে দেশে একাধিক হত্যা মামলা এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। অভ্যুত্থানকালে তার নির্লিপ্ত ভূমিকা নিয়েও উঠেছে ব্যাপক প্রশ্ন। পরে অবশ্য নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি খোলা চিঠিতে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি।
সব মিলিয়ে মাঠ ও মাঠের বাইরের বাস্তবতা মিলিয়েই হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচকদের। সাকিবের প্রত্যাবর্তন আদৌ সম্ভব কি না, সেটিই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।