মাদারগঞ্জে বিএনপির নেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মোহাম্মদ শাহিন জামালপুর
মাদারগঞ্জের মিথ্যা মামলায় বিএনপির নেতাকে ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ প্রকাশ করেছেন উপজেলার বিএনপি সভাপতি ফরহাদ হোসেন টিক্কা।জামালপুরের মাদারগঞ্জে মিথ্যা অপপ্রচার করে মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা এবং রাজনৈতিক ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার শিধুলি ইউনিয়ন বিএনপির সহ- সভাপতি ফরহাদ হোসেন টিক্কা। রবিবার সকাল ৯ টায় প্রেসক্লাব জামালপুর কার্যালয়ে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হামলা মামলায় যখন সর্বশাস্ত হয়ে বছরের পর বছর আত্বগোপন করে থাকতে হয়েছে। ৫ আগষ্টে ছাত্র- জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। আমরা যখন দীর্ঘ সময় পর একটু খোলা আকাশে মুক্ত ভাবে নিঃশ্বাস নিচ্ছি ঠিক তখনই আবারো নতুন করে আওযামীলীগের নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি। তিনি বলেন, গত বছরের ১৮ মার্চ সকালে আমার বাড়ির পাশে শিমুলতলা জোড়াব্রীজের নিচে লাশ দেখে এলাকার মানুষ ভিড় করে। আমি দৌড়ে গিয়ে লাশ দেখে এবং লোকজনের মুখে শুনে জানতে পারি এটা পাশের গ্রামের সুমন হতে পারে। আমি নিজেই সমুন মিয়া ওরফে তারির বড় ভাই মতিউর রহমানকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছি। পরে তার পরিবার এবং পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার শাবল, লোহা কাটার হেস্কু ব্লেড এবং নাট বল্টু খোলার জন্য ব্যবহৃত ডাল যা তার পড়নের লুঙ্গীর কোচায় ছিল উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ১৯ মার্চ সমুনের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদি হয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্বামী সুমন মিয়া ওরফে তারি সন্ধ্যায় ইফতার করে বাড়ি থেকে বের হয়।এরপর রাত সাড়ে ১২ টায় বাড়িতে এসে টয়লেট করে লোহার শাবল নিয়ে বেরিয়ে যান। কোথায় যাচ্ছে জানতে চাইলে বলে কাজে যাচ্ছে। এরপর আর বাড়ি ফিরেনি। যাওয়ার সময় তার মোবাইল ফোনটিও বাড়িতে রেখে যায়। ভোর সকাল ৫ টায় আমার ভাসুর মতিউর রহমান আমাকে ডেকে তুলে বলে পাশের গ্রামের জনৈক ফরহাদ হোসেন টিক্কা ফোন করে তার স্বামীর উৎ করা মাটির নিচে অর্ধচাপা লাশ পড়ে আছে। পরে আমার স্বামীর লুঙ্গী ও জামা দেখে লাশ সনাক্ত করি। মামলা দায়ের পর পুলিশ এলাকার রফিকুল ইসলাম এবং বেলাল হোসেন নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন। সেখানে উল্লেখ করেন মামলা বাদি ভুল তথ্যের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করেছেন। ঘটনার স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তের স্বার্থে সন্ধিগ্ধ আসামী রফিকুল ইসলাম এবং বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধেও কোন প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের ২ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ হোসেন টিক্কা বলেন, নিহত সুমন মিয়ার ভাই আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমান নাশকতার মামলায় ৫ মাস কারাগারে থেকে জামিনে বেরিয়ে হঠাৎ করে তার ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা নতুন করে নাটক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। সে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেছেন।