জামায়াতের সাংগঠনিক তৎপরতা কি নির্বাচনের প্রস্তুতি? কি বলছে জামায়াতের স্থানীয় নেতৃত্ব
নির্বাচন প্রশ্নে জামায়াত আমীরের মূল কথা প্রথমে সংস্কার, তারপর নির্বাচন। অন্যদিকে ৩০০ আসনে প্রার্থী নির্ধারণ করে দেওয়া, প্রার্থীরা নির্বাচনী এরিয়াতে চষে বেড়ানো। এসব হালহাকিকত দেখে বিরোধীরা নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত করছে জামায়াতকে। যারা নির্বাচন ইস্যুতে জামায়াতকে নানা ভাবে হাস্যরস করছে, আমি বলব তাদের মস্তিষ্কে হালকা আওয়ামী ফ্যাসিজম এখনো বিদ্যমান আছে। পাঠক আপনারা সকলে জানেন, গত নির্বাচন কিভাবে রাতের অন্ধকারে ভোট হয়েছিল। এভাবে রাতের অন্ধকারে ভোট পেয়ে গেলে আর সামাজিক কাজের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট অর্জনের প্রয়োজন পড়ে না। আমার এখনো মনে পড়ে আমার ছোট খালামণির কিছু পরামর্শ, গত কয়েক বছর আগে স্থানীয় নির্বাচনে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা প্রকাশ করি। তিনি আমাকে বলেছিলেন যদি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে এখন থেকে আমাকে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। যেমন রাস্তাঘাট সংস্কার, অসুস্থ ব্যক্তিকে আর্থিক সহযোগীতা, দরিদ্র পরিবারের মেয়ে বিয়েতে সহযোগীতা, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে লেখাপড়া খরচ প্রদান ইত্যাদি সামাজিক কাজ মাধ্যমে জনগণের কাছে থাকলে জনগণ নির্বাচনে সে ব্যক্তিকে বিজয়ী করবে এবং সে হবে জনপ্রতিনিধি। মূলত জামায়াত এই কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করছে। আর এটাই সবচেয়ে বৈধ এবং বেস্ট পলিসি। ছোট্ট একটা গল্প বলি, গত ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ মানবিক লিটন রোড এক্সিডেন্ট মারা গিয়েছে। মানবিক লিটনের মৃত্যুতে নিজ বাড়ী, দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শোকের ছায়া নেমে আসে। বিভিন্ন মানবিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিল মানবিক লিটন। তার মধ্য অন্যতম রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সদস্য, ইউনিসেফ শিশু নিরাপদ প্রকল্প সদস্য। মানবিক লিটন নাজিরহাট শহর শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী। ছাত্রশিবির এমন কর্মী তৈরী করছে, তার দ্বারা দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে। ছাত্রশিবির কর্মী হতে ৪ টি গুণ আবশ্যক। ১. দাওয়াতী কাজ ২. ব্যক্তিগত রিপোর্ট লেখা, ৩. নিয়মিত সংগঠনকে এয়ানত দেওয়া, ৪. নিয়মিত প্রোগ্রামে উপস্থিত হওয়া। জামায়াত কর্মী হতে এই ৫ টি গুণ আবশ্যক। ৫ম গুণটি হলো সামাজিক কাজ করা। অর্থ্যাৎ জামায়াত কর্মী মানে সমাজ কর্মী। জামায়াত বিষয়ে নিউজ করতে হলে জামায়াত গঠণতন্ত্র ও সংগঠন পদ্ধতি স্টাডি করতে হবে। জামায়াত সংগঠন পদ্ধতিতে মাসে ৪ টি বৈঠকের কথা লেখা আছে। তার মধ্য একটি দাওয়াতী অভিযান। দাওয়াতী অভিযান দেখলে আপনার কাছে নির্বাচনী প্রচারণা মনে হবে। এটি নির্বাচনী প্রচারণা নয়, সাংগঠনিক দাওয়াতী কাজ। সাংগঠনিক দাওয়াতী কাজে সংগঠনের পরিচিত সম্বলিত লিফলেট ও বই বিতরণ করা হয়। আজ ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত গণসংযোগ করছে জামায়াত। গণসংযোগ কালে নিউজের কাজে যোগাযোগ করলে হাটহাজারী উপজেলা প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আবুল বাশার বলেন এটি কোনো নির্বাচনী প্রচারণা নয়। এটি সাংগঠনিক দাওয়াতী কাজের গণসংযোগ।
মোঃ সালাউদ্দীন
লেখক ও সাংবাদিক
close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
জামায়াতের সাংগঠনিক তৎপরতা কি নির্বাচনের প্রস্তুতি? কি বলছে জামায়াতের স্থানীয় নেতৃত্ব..
コメントがありません



















