আগামী ১৯ জুলাই শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র জাতীয় সমাবেশ। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২৫ জুন বুধবার অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই সমাবেশের প্রস্তুতি ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচনা করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম।
জামায়াত জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়, তার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার এবং ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করতে তাদের এই জাতীয় সমাবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, জুলাই মাসের অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রবর্তনের দাবিও এই সমাবেশের মূল বিষয় হবে।
সমাবেশ সফল করতে বৈঠকে বিভিন্ন বিভাগের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে শান্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসূ সমাবেশে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ মোবারক হোসাইন, নূরুল ইসলাম বুলবুল, মো. সেলিম উদ্দিন, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ড. রেজাউল করিম, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মো. ইয়াসিন আরাফাত, কামাল হোসাইন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম প্রমুখ।
দলটির পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং তা দেশের গণতন্ত্রের উন্নয়নে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে গৃহীত হবে।
জাতীয় নির্বাচনের ন্যায়বান ও নিরপেক্ষ পরিবেশের দাবিতে এই সমাবেশ রাজনৈতিক দৃশ্যপটে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
বিস্তারিত আলোচনা ও প্রস্তুতি নিয়ে দলের নেতারা একযোগে কাজ করছেন যাতে করে ১৯ জুলাইয়ের এই সমাবেশ সকল ক্ষেত্রে আদর্শ ও সফল হয়। সমাবেশের মাধ্যমে দলটি তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরবে।
জনগণের বৃহৎ অংশ আশা করছে, এই জাতীয় সমাবেশ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নতুন উদ্দীপনা জোগাবে এবং আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশকে আরও সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ করবে।