close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

জামায়াতে ইসলামীর নেতা কর্মীদের টাকার বিনিময়ে কেনা যায়না: এ টি এম আজহারুল..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
At a gathering in Rangpur, ATM Azharul Islam declared that Jamaat leaders and activists cannot be bought with money, nor crushed by persecution.

রংপুরের বদরগঞ্জে সমাবেশে এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ভেবেছিল নির্যাতনে জামায়াত ভেঙে পড়বে, কিন্তু নেতা-কর্মীদের মনোবল আরও শক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, জামায়াতের নেতা-কর্মীদের টাকার বিনিময়ে কেনা যায় না। আওয়ামী লীগ এ সত্য ভালোভাবেই জানত, তাই তারা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে জামায়াতের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। তবে এসব জুলুম-নির্যাতন সত্ত্বেও জামায়াতের কোনো নেতা-কর্মী দেশ ছেড়ে পালায়নি, বরং সংগঠনটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৪টায় রংপুরের বদরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের নিয়ে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের শত শত কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ টি এম আজহারুল বলেন, “আওয়ামী লীগ সবসময় ভেবেছে ভয় দেখিয়ে, গুম-খুন আর মিথ্যা মামলা দিয়ে জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলবে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছিল, জামায়াত একটি আদর্শিক আন্দোলন। নির্যাতন যত বাড়বে, ইসলামী আন্দোলনের শক্তি তত বৃদ্ধি পাবে।” তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের স্বার্থে দেশকে ভারতের কাছে সমর্পণ করেছিল। জামায়াত সেই সময় থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে। আর সেই কারণেই দলটির ওপর অকথ্য নির্যাতন নেমে এসেছিল।

জুলাই-আগস্টের সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এ আন্দোলন শুধু ক্ষমতার পালাবদলের জন্য হয়নি। দেশের রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন আনতেই জনগণ রাস্তায় নেমেছিল। যদি পরিবর্তন না আসে, তাহলে আবারও হাসিনার মতো একনায়ক ক্ষমতায় বসবে।

তিনি তীব্র সমালোচনা করে আরও বলেন, হাসিনা একসময় বলেছিল আওয়ামী লীগ পালায় না। অথচ শেষ পর্যন্ত তারাই ভাত-মাছ রান্না না করে পালিয়ে ভারতে চলে গেছে। কিন্তু জামায়াতের একজন নেতা বা কর্মীও দেশ ছেড়ে পালায়নি।

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে এ টি এম আজহারুল ইসলাম বলেন, ভোট বিপ্লবের মাধ্যমেই জামায়াতে ইসলামী এ দেশে ইসলামী সমাজ কায়েম করতে চায়। গণতন্ত্রে আমাদের বিশ্বাস আছে। আমরা মানুষের কাছে আমাদের আদর্শ পৌঁছে দেব, সহযোগিতা করব, ভালো আচরণের মাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করব।

তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা ঘরে ঘরে কালেমার দাওয়াত পৌঁছে দিন। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। জামায়াত শুধু রাজনীতির জন্য নয়, সমাজ পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বদরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কামারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নায়েবে আমির শাহ মুহাম্মদ রুস্তম আলী, সেক্রেটারি মাওলানা মেনহাজুল, কাজী আব্দুল মাবুদ, মাওলানা মাহফুজসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, জনগণ আর কোনো দলীয় শোষণ দেখতে চায় না। ইসলামী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হবে।

এই সমাবেশ ঘিরে স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়। উপস্থিত অনেক নেতা-কর্মী জানান, নির্যাতন, মামলা ও গ্রেফতারের ভয় থাকলেও তারা আন্দোলনের ময়দান ছেড়ে যাবে না। বরং ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ চালিয়ে যাবে।

No comments found