close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইউএনওকে জানিয়ে গাছ স'মিলে রাখা হয়েছিল,বিক্রির মত ঘটনা ঘটেনি ..

Md Sohel Rana avatar   
Md Sohel Rana
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কাজী আব্দুল হাসিমের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।..

 

তবে আবুল হাসিম গাছ বিক্রির মত ঘটনা ঘটেনি জানালেও কেনাবেচার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স'মিল মালিক গাছ বিক্রেতা আলামিন এবং ক্রেতা কাঠমিস্ত্রী জালাল বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

গাছ বিক্রির মত ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে দুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কাজী আব্দুল হাসিম বলেন,নিজ দলের কিছু সুবিধাবাদী নেতাকর্মীরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেই এমন করছে। ঈদের আগে ইউএনওকে জানিয়ে গাছটি মিল মালিক আলামিনের কাছে রাখা হয়েছিল,বিক্রির মত ঘটনা ঘটেনি। পরবর্তীতে বিষয়টি ভুলে গিয়েছিলাম তাই ইউএনওকে আর বলা হয়নি। বতর্মানে ইউনিয়ন সচিবের হেফাজতে রয়েছে গাছটি। 

সরেজমিনে গাছ কাণ্ডের সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,ঈদুল আযহার আগের দিন দুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কাজী আবুল হাসিম চেচুয়া এলাকার সরকারি রাস্তার একটি গাছ ঝড়ে পড়ে যায়। বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়ে নয়নমনি গাছটি স্থানীয় স'মিল মালিক আলামিনের হেফাজতে রাখেন হাসিম। পরে ওই মিল মালিক গত ৬ জুলাই গাছটি কাঠমিস্ত্রী জালালের কাছে বিক্রির জন‍্য ১০ হাজার ৩ শত টাকায় দরদাম করেন এবং কাঠমিস্ত্রীর থেকে ২ হাজার টাকা বাইনাও নেয়। পরবর্তীতে বাকী টাকা দিয়ে গাছ চিরাই করে নিবেন বলেও চুক্তি করেন কাঠমিস্ত্রী। এরইমধ্যে বিষয়টি ইউনিয়ন জুড়ে জানাজানি হলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন হাসিম। তবে ধামাচাপা দেওয়ার আগেই গাছ কাণ্ডের সকল তথ‍্য ও প্রমাণ গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে চলে আসে। অনুসন্ধান বলছে,দফায় দফায় মিল মালিক ও কাঠমিস্ত্রীকে হুমকি দিচ্ছেন ওই সরকারি গাছ কাণ্ডের মূলহোতা নেতা বিএনপি নেতা হাসিম। এছাড়া ওই নেতা ইউএনওর উপর দোষ চাপিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা অব‍্যাহত রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। 

গাছ কেনার কথা স্বীকার করে কাঠমিস্ত্রী জালাল বলেন,মিল মালিক আলামিনের কাছে নয়নমনি গাছটি ১০ হাজার ৩শত টাকায় কেনার জন‍্য ২ হাজার টাকা বাইনা করেছি। বাকী টাকা দিয়ে গাছ চিরাই করে নিয়ে আসব।  

কাঠমিস্ত্রী জালালের সঙ্গে গাছ বেচাকেনা কথা স্বীকার করে এ বিষয়ে বিস্তারিত আবুল হাসিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেই কল কেটে দেন মিল মালিক আলামিন। 

এ প্রসঙ্গে মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আতিকুল ইসলাম জানান,ঈদের আগের দিন গাছ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়েছিল। ইউপি সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে গাছটি সেভ জোনে রাখতে বলা হয়েছিল। গাছ বিক্রির বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। সচিবকে গাছটি নিজের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বিষয়টি প্রসঙ্গে জানতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান খান রতনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন কল দিলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য,বিএনপির নেতা হাসিমের বিরুদ্ধে  উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং  সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারের সঙ্গে আ.লীগ আমলে আতাত করে চলার অভিযোগ সহ বিগত দিনে নেতার সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদান করার একাধিক ছবিও রয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় এক ব‍্যবসায়ীর কাছ থেকে নেওয়া ধারের ৫ লাখ টাকা না দিয়ে উল্টো তাকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ভাঙ্গারি ব‍্যবস‍ায়ী মোয়াজ্জেম হক মোজা। 

No comments found