এক ভয়ংকর হ্যাকার গ্রুপ যাদের আইপি অ্যাড্রেস বলছে তাদের ঠিকানা উত্তর কোরিয়া 2009 সাল থেকে তারা একের পর এক সাইবার হামলা চালিয়েছে আর লুট করেছে প্রায় 30 বিলিয়ন ডলার এই গ্রুপটির নাম লাজারাস গ্রুপ তাদের প্রধান টার্গেট হলো বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক আন্তর্জাতিক মহল প্রায় নিশ্চিত যে এই লাজারুস গ্রুপ আসলে উত্তর কোরিয়ার সরকার দ্বারা পরিচালিত কারণ তাদের প্রতিটি হামলার পর রেখে যাওয়া ডিজিটাল ফুটপৃন্ট আইপি এড্রেস এবং হামলার ধরন একটি দেশের দিকে ইঙ্গিত করে উত্তর কোরিয়া ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং চাঞ্চল্যকর ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল এর শিকার হয়েছিল আমাদের নিজের দেশের বাংলাদেশ ব্যাংক
উত্তর কোরিয়ার লাজারাস গ্রুপ সাইবার নিরাপত্তার বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। ২০০৯ সাল থেকে তারা একের পর এক সাইবার হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার লুট করেছে। আন্তর্জাতিক মহল প্রায় নিশ্চিত যে এই গ্রুপটি উত্তর কোরিয়ার সরকার দ্বারা পরিচালিত।
### ঘটনার প্রেক্ষাপট
লাজারাস গ্রুপের কার্যক্রমের প্রাথমিক লক্ষ্যবস্তু হল বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক। তাদের সাইবার আক্রমণের পদ্ধতি এবং পরে রেখে যাওয়া ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট প্রায়ই উত্তর কোরিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে।
### বাংলাদেশ ব্যাংক ডাকাতি
লাজারাস গ্রুপের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর আক্রমণগুলোর মধ্যে একটি হল ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ডাকাতি। ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এই ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮১০ মিলিয়ন ডলার চুরি করার চেষ্টা করে, যদিও শেষ পর্যন্ত ৮১ মিলিয়ন ডলার লুট করতে সক্ষম হয়।
### আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এই সাইবার হামলা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। বিভিন্ন দেশের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এই আক্রমণ পর্যালোচনা করে এবং তারা লাজারাস গ্রুপের পেছনে উত্তর কোরিয়ার সরকারের হাত থাকার সম্ভাবনা বেশি মনে করেন।
### সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব
এই ধরনের সাইবার আক্রমণগুলি একটি দেশের আর্থিক খাতের জন্য বিশাল হুমকি। বিশ্বব্যাপী ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের সাইবার নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
### ভবিষ্যৎ প্রভাব
লাজারাস গ্রুপের এই ধরনের আক্রমণ ভবিষ্যতে আরও সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং তথ্য বিনিময় অপরিহার্য।
এছাড়াও, এই ধরনের সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী আইনি কাঠামো জোরদার করা প্রয়োজন।