ইতিহাস গড়ে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন ইগা সিওনতেক

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
ইগা সিওনতেকের ট্রফি ক্যাবিনেটে এত দিন ছিল পাঁচটি গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফি—চারটি ফ্রেঞ্চ ওপেন আর একটি ইউএস ওপেনের। কিন্তু ‘ভেনাস রোজওয়াটার ডিশ’, উইম্বলডনের ঐতিহ্যবাহী সেই ট্রফিটা ছিল না..

কারণ, পোলিশ তারকা তো উইম্বলডনের ফাইনালেই উঠতে পারেননি এত দিন। সেই অপূর্ণতা ঘুচিয়েই এবার সেও ইতিহাস গড়লেন অল ইংল্যান্ড ক্লাবে।

মাত্র ৫৭ মিনিটেই ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের আমান্ডা আনিসিমোভাকে ৬-০, ৬-০ গেমে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবার উইম্বলডনের নারী এককের চ্যাম্পিয়ন হলেন অষ্টম বাছাই সিওনতেক। এতটাই একপেশে ম্যাচে জয়, যা উইম্বলডনের ইতিহাসে বিরল।

এটি ছিল গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় ‘ডাবল ব্যাগেল’ জয়—যেখানে কোনো খেলোয়াড় প্রতিপক্ষকে দুটি সেটেই ৬-০ গেমে হারান। এর আগে ১৯১১ সালে ডোরা বুথবিকে হারিয়ে উইম্বলডনে এই কীর্তি গড়েছিলেন ডরোথি ল্যাম্বার্ট-চ্যাম্বার্স। আর ১৯৮৮ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন ফাইনালে নাতাশা জভেরেভার বিপক্ষে একইভাবে জিতেছিলেন কিংবদন্তি স্টেফি গ্রাফ। ৩৭ বছর পর সেই তালিকায় নাম লেখালেন সিওনতেক।

অল ইংল্যান্ড ক্লাবে প্রথমবার ট্রফি হাতে নিয়ে আবেগে কাঁপছিলেন ২৪ বছর বয়সী সিওনতেক। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বললেন,
“একদমই পরাবাস্তব মনে হচ্ছে। এখানে দারুণ দুটি সপ্তাহ কাটানোর জন্য প্রথমেই আমান্ডাকে অভিনন্দন জানাই। আশা করি, তুমি সামনে আরও অনেক ফাইনাল খেলবে। সত্যি বলতে, এমন কিছু করার স্বপ্নও দেখিনি। আমার কাছে অনেক বড় মনে হচ্ছে। আমি উইম্বলডন জয়ের প্রত্যাশাও করিনি।”

প্রথমবার উইম্বলডনের ফাইনালে উঠে এমন হার সহজে মেনে নিতে পারেননি আমান্ডা আনিসিমোভা। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে কেঁদে ফেলেন ১৩তম বাছাই এই মার্কিন তারকা। তবে কণ্ঠে ছিল আত্মবিশ্বাসের সুরও।
“এখানে আসার জন্য নিজেকেই ধন্যবাদ। উড়তে পারবেন না—এমন সংস্কার ঝেঁটিয়ে বিদায় দেওয়ার জন্যও ধন্যবাদ। তবে আমি অবশ্য এ কারণে হারিনি!”
নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার পর তিনি আরও বললেন,
“আমি জানি আজ বেশি কিছু করতে পারিনি। তবে আমি কঠোর পরিশ্রম করে যাব। আশা করছি, কোনো একদিন আবারও এখানে ফিরতে পারব।”

প্রথম সেট জিতে নিতে সিওনতেক সময় নিয়েছেন মাত্র ২৫ মিনিট। আনিসিমোভার ভুল যেন থামছেই না। পুরো ম্যাচে ২৮টি আনফোর্সড এরর আর ৫টি ডাবল ফল্ট করেছেন তিনি। প্রথম সেটে মাত্র ৯টি পয়েন্ট জিততে পেরেছেন।

এই জয়ের মাধ্যমে টানা আট বছর উইম্বলডনে নতুন নারী একক চ্যাম্পিয়ন পেল অল ইংল্যান্ড ক্লাব। আর প্রথম উইম্বলডন জিতে সিওনতেক পেলেন ৩০ লাখ পাউন্ড পুরস্কার অর্থ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

Nessun commento trovato