ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫১ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৫ জনে। বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কারণে যথাযথভাবে কাজ করতে পারছেন না, ফলে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় ২৪ জন নিহত এবং ১৩৩ জন আহত হয়েছেন। এইভাবে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬০ জনে এবং গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ১৯৭ জন আহত হয়েছেন।
একই সময়ে অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও দুইজন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের একজন শিশু। এই নিয়ে খাদ্য সংকটজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৩ জনে, এর মধ্যে ১১২ জন শিশু।
আলজাজিরার ভিডিও প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান এলাকার একটি স্কুল ভবনের ওপর ইসরায়েলি কোয়াডকপ্টার ড্রোন চক্কর দিতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ড্রোনটি একটি বিস্ফোরক ফেলে, যাতে অন্তত ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। স্কুল ভবনটিতে বহু বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, একই দিনে গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্থানীয় আল-আহলি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
নিরবচ্ছিন্ন হামলার ফলে গাজা উপত্যকা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও ইসরায়েলি অভিযানে কোনো শিথিলতা দেখা যাচ্ছে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, মানবাধিকার সংস্থা এবং নাগরিক সমাজ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আসছে।