close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ যুদ্ধাপরাধের শামিল: জাতিসংঘ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের নতুন বসতি স্থাপনের পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধের শামিল বলে কঠোর সমালোচনা করেছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) প্রকাশিত..

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এক বক্তব্যে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মটরিচ জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বসতি স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি দাবি করেন, এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের ধারণাকে "স্থায়ীভাবে কবর দেবে"। তার এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র বলেন, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ পশ্চিম তীরকে ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন এলাকায় পরিণত করবে। অধিকৃত ভূখণ্ডে দখলদার রাষ্ট্রের নিজ জনগণকে স্থানান্তর করাকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।

বর্তমানে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ২৭ লাখ ফিলিস্তিনির সঙ্গে বসবাস করছেন প্রায় সাত লাখ ইসরায়েলি সেটেলার। ১৯৮০ সালে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অধিকাংশ দেশ এখনো সেই পদক্ষেপকে স্বীকৃতি দেয়নি। পশ্চিম তীরের ক্ষেত্রেও কোনো আনুষ্ঠানিক সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অধিকাংশ বৈশ্বিক শক্তি মনে করছে, বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত থাকলে সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভূখণ্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এতে করে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পথ আরও জটিল হয়ে উঠবে।

দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অধীনে পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়, যা ইসরায়েলের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে টিকে থাকবে। তবে ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে এই অঞ্চলগুলো ইসরায়েলের দখলে যাওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।

ইসরায়েল এসব সমালোচনার জবাবে বলেছেন, পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক ও বাইবেলীয় সম্পর্ক রয়েছে। 

বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিনিদের জন্য নির্ধারিত ভূখণ্ডে ক্রমাগত বসতি সম্প্রসারণ কেবল সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতাই বাড়াচ্ছে না, বরং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকেও ব্যাহত করছে। অনেকের আশঙ্কা, বর্তমান পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে কার্যত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান অকার্যকর হয়ে পড়বে এবং অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি সহিংসতার ঝুঁকি আরও বাড়বে।

জাতিসংঘের এই সর্বশেষ সতর্কবার্তা সেই আশঙ্কাকেই আরও জোরালোভাবে সামনে নিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন ইসরায়েলের পদক্ষেপের দিকে, যা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়াকে ভবিষ্যতে আরও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا