close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার ও গ্রাহক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কর্তৃক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও : পরিচালক ড. জোবায়েদুর রহমানকে অপসারণের দাবি..

Touhid Sarkar avatar   
Touhid Sarkar
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র পরিচালক ড. জোবায়েদুর রহমানকে অপসারণের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১০ জুল্ইা) ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার ও গ্রাহক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কর্তৃক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি..

ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার ও গ্রাহক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নুর নবী মানিকের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা মোতাসিম বিল্লাহর পরিচালনায় মতিঝিলের দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংক ভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গ্রাহক জাহিনুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গ্রাহক ইমাম হোসেন, আল আমিন রাসেল, মোশারফ হোসেন প্রমুখ।

 

বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত ধ্বংস করে দিয়েছে। নিজেদের দলীয় দুর্নীতিবাজদের হাতে ব্যাংক গুলো তুলে দিয়ে লুটপাট করেছে। ব্যাংকিং খাত ধ্বংসের মূল হোতা এস আলম গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তার মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি থেকে ৭৮ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছিল। সেই এস.আলম গ্রুপের দোসর ড. জোবায়েদুর রহমানকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক করার পর তিনি দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, গ্রাহকদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ও ব্যাংকের ইসলামী চরিত্র ধ্বংস করার চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তাই তাকে দ্রæত অপসারণের দাবি জানান বক্তারা।

 

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নুর নবী মানিক বলেন, গতকাল বুধবার মানবন্ধন থেকে ৪ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পষর্দ এই দাবিগুলো অগ্রাহ্য করেছে। এজন্য ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার ও গ্রাহক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কর্তৃক শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক পন্থায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে। তবে কর্মসূচির শুরুতেই ব্যাংকে কর্মরত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর কর্মকর্তাদের নির্দেশে কয়েকজন কর্মচারী আমাদের কর্মসূচিতে বাঁধা প্রদান করে। আমরা এহেন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

 

তিনি আরো বলেন, ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার ও গ্রাহক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ কর্তৃক উত্থাপিত দাবিগুলো হচ্ছে - ১. আওয়ামী লেসপেনসার, এস আলম ও শেখ হাসিনার দোসর ব্যাংকের পরিচালক অধ্যাপক ডক্টর জোবায়দুর রহমানকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে। ২. এস আলম কর্তৃক জবর দখলকৃত ব্যাংকের ৮২% শেয়ার ২০১৭ সালের আগের মালিকদের নিকট অনতিবিলম্বে হস্তান্তর করতে হবে। ৩. সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় লুট হওয়া টাকার সমপরিমাণ টাকা  সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে এখনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে প্রদান করে ব্যাংকগুলোকে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাবস্থা করতে হবে এবং পরবর্তীতে বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত এনে এবং এস আলম, সালমান এফ রহমান সহ সকল অলিগার্কদের সম্পদ বিক্রি করে তা সমন্বয় করতে হবে। ৪. লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুট এবং ব্যাংক ব্যাবস্থা ধ্বংসের সাথে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের অর্থ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা এবং জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।

 

অধ্যাপক নুর নবী মানিক বলেন, আমরা ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিপক্ষে নয়, আমরা ইসলামী ব্যাংকের স্বার্থ রক্ষায় দুর্নীতিবাজদের অপসারণের দাবি জানিয়েছি। ইসলামী ব্যাংক ছিল বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে স্বনামধন্য ব্যাংক। আওয়ামী লীগ তাদের দোসর এস.আলম গ্রুপের হাতে ইসলামী ব্যাংক তুলে দিয়ে মূলত প্রমাণ করতে চেয়েছে, সুদ মুক্ত ইসলামিক ব্যাংকিং বলতে কিছু নাই। এজন্যই তারা ইসলামী ব্যাংককে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই ইসলামী ব্যাংকের সুনাম ও ঐতিহ্য ফেরাতে অবশ্যই ইসলামী ব্যাংক থেকে আওয়ামী দোসর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে হবে। এস আলম কর্তৃক জবর দখলকৃত ব্যাংকের ৮২% শেয়ার ২০১৭ সালের আগের মালিকদের নিকট অনতিবিলম্বে হস্তান্তর করতে হবে। তবেই ইসলামী ব্যাংকের ঐতিহ্য ও সুনাম ফিরে আসবে

Nessun commento trovato