সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি এলাকায় ইসলাম ধর্ম ও পবিত্র কুরআন শরীফকে অবমাননাকর মন্তব্য করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। সোমবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত পুলিশ হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম সোহাগ হোসেন (২৬)। তিনি দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি এলাকার মঞ্জুর হোসেনের ছেলে। জানা গেছে, “সালাউদ্দিন” নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ এবং পবিত্র কুরআন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়। পোস্টটিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে সোহাগ ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরই পুরো এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ওই পোস্টের বিষয়ে জানতে সোহাগের বাড়িতে উপস্থিত হন। তারা বিষয়টি সম্পর্কে ব্যাখ্যা চাইলে সোহাগ দাবি করেন, পোস্টটি তিনি নিজেই দিয়েছেন এবং উপস্থিত লোকজনকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত জনতা সোহাগকে গণপিটুনি দিয়ে জুতার মালা পড়িয়ে দেয়। ক্রমশ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ঘটনাস্থলে দেবহাটা থানা পুলিশ উপস্থিত হয় এবং সোহাগকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া হাসান জানান, অভিযুক্ত সোহাগ পূর্বে চুরির অভিযোগে আটক হয়েছিল এবং তার মানসিক সমস্যার কথাও জানা যায়। তিনি বলেন, “ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কেউ অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়।
পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে এবং ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয়দের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে ওসি আরও বলেন, “ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা গুরুতর অপরাধ। আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা পোস্ট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।