close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ঈশ্বরগঞ্জে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা না পেয়ে দোকান ভাঙচুর

Md Ubaydullah Rume avatar   
Md Ubaydullah Rume
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি প্রাণনাশের হুমকি ও দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই সৈয়দ নূর মোহাম্মদ শামীম।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নাউরী গ্রামের বাসিন্দা শামীমের ছোট ভাই সৈয়দ শরীফের কাছে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার কয়েকজন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের ছেলে আশরাফ হোসেন (৫০), আনোয়ার হোসেন (৪৫), নাউরী গ্রামের আশরাফ হোসেনেরর ছেলে ইমরান হোসেন (সিজার) (৩৬), তানিম (৩৩) ও মৃত হোসেন আলীর ছেলে সুমে মিয়া (৫০) পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দিলে দোকান ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট-২৫ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মধুপুর বাজারে শরীফের মুদি দোকানে গিয়ে অভিযুক্তরা পুনরায় চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধরের চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে প্রাণনাশ থেকে রক্ষা পান শরীফ। যাওয়ার সময় তারা আবারও দোকান ভাঙচুর ও লুটের হুমকি দিয়ে যায়। পরে ওই দিন রাতে দোকান ঘরটি ভাংচুর করে লুটপাট করে মালামাল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

পরদিন সকালে বাজারের লোকজন ফোনে জানায় দোকানের তালা খোলা। ছোট ভাই শরীফ গিয়ে দেখেন দোকানের জিনিসপত্র এলোমেলো, মালামাল লুট হয়ে গেছে এবং দোকানের চাল ও বেড়া ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ভুক্তভোগীর দাবি, ঘটনাটি বহু মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে এবং তদন্তে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাবে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

মধুপুর বাজারের ব্যবসায়ী আলীম উদ্দিন ও আব্দুল কাইয়ুম জানান, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে দেখে আসছি সৈয়দ শরীফের বাবা ও তারা এই জায়গায় ব্যবসা করে আসছে। গত কয়েকদিন পূর্বে রাতের আঁধারে কয়েকজন মিলে শরীফের দোকান ঘরটি ভেংগে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।  

এবিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Nenhum comentário encontrado