close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া উপকূলে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় পাপুয়া প্রদেশের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.৩। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টা ২৪ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।..

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল পাপুয়া প্রদেশের উপকূলীয় শহর আবেপুরা থেকে প্রায় ১৯৪ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে। ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে, যা অগভীর ভূমিকম্পের মধ্যে পড়ে। এর আগে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৫ বলা হলেও পরে তা সংশোধন করে ৬.৩ করা হয়।

এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং ক্ষয়ক্ষতিরও তথ্য মেলেনি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের প্রভাবে সুনামির কোনো ঝুঁকি নেই, তাই কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবুও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কিছু উপকূলীয় এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন মানুষকে সচেতন থাকতে বলেছে।

ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্প-প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি, কারণ এটি তথাকথিত ‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত। প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে বিস্তৃত এই ভূতাত্ত্বিক বেল্টে প্রায়ই আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ ও ভূমিকম্প ঘটে। ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসে একাধিক ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প ঘটেছে, যার মধ্যে ২০০৪ সালের সুনামি-সৃষ্ট ভূমিকম্প সবচেয়ে ভয়াবহ, যা কয়েকটি দেশে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়।

পাপুয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের সময় কিছু ভবন সামান্য কেঁপে ওঠে এবং আতঙ্কে মানুষ রাস্তায় বের হয়ে আসে। তবে বিদ্যুৎ বা যোগাযোগব্যবস্থায় বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দারা ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। অনেকেই জানিয়েছেন, কাঁপুনি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয় এবং তা বেশ জোরালো ছিল।

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (BNPB) জানিয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে মাঠ পর্যায়ে দল পাঠানো হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, স্থানীয় হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত কোনো জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন হয়নি।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প মাঝারি থেকে শক্তিশালী হলেও কেন্দ্রস্থল সমুদ্রের তলদেশে হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে কম। তাছাড়া, ভূমিকম্পটির গভীরতা মাত্র ১০ কিলোমিটার হলেও এটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে ঘটেছে। ফলে প্রাণহানি বা অবকাঠামোগত ক্ষতির ঝুঁকি কমে গেছে।

পাপুয়া প্রদেশের গভর্নর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমরা এখনো পর্যন্ত কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাইনি, তবে আমরা সব ধরনের জরুরি সেবা প্রস্তুত রেখেছি। জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।”

No comments found