close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

হিন্দু ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে বিয়ে! ২৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের একাদশ শ্রেণীর এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের ২৮ দিনেও ভিকটিম উদ্ধার হয়নি। এমনকি গ্রেপ্তার করা যায়নি অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের। ফলে ভিকটিম পরিবার..

✍️ শেখ আমিনুর হোসেন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা: 

আসামীরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের এশরাফুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (২২), একই গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াদুদ এর ছেলে এশরাফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভিন খাতুন।

মামলা ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের কৃষকের মেয়ে দরগাহপুর কলেজিয়েট স্কুলে মানবিক বিভাগে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে কাদাকাটি গ্রামেরএশরাফুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম উত্যক্ত করতো। বিষয়টি ফরিদুলের বাবা ও মাসহ স্বজনদের জানালে তারা আরো ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরেগত ৮ মার্চ সকাল ১০টার দিকে মাইক্রোবাসে করে কাদাকাটি গ্রামের তার বাড়ির পাশ থেকে একই এলাকার অপহরণ করেএশরাফুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম। ১২ মার্চ থানায় অভিযোগ দিলেও ভিকটিমকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে কালক্ষেপণ করে অপহরণকারিরা। একপর্যায়ে গত ২৭ মার্চ থানায় মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ এর উপর। যদিও ঘটনার চার সপ্তাহ পরে পুলিশ কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পারেনি আসামীদের গ্রেপ্তার করতে। নিরুপায় হয়ে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি সাতক্ষীরা র‍্যাব এর কর্মকর্তা, পুলিশের কর্মকর্তা, জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা,খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। আসামীরা সাতক্ষীরা শহরে প্রকাশ্যে ঘরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না পুলিশ।

মামলার তদন্তকাারি কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রশীদ জানান, আসামীরা পলাতক রয়েছে। শনিবারের মধ্যে ভিকটিমকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যপারে আসামীপক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। এর ব্যত্তয় হলে রবিবার থেকে ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গেপ্তারে কঠিণ উদ্যোগ নেওয়া হবে।

コメントがありません