চিকিৎসাধীন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে যান এবি পার্টির শীর্ষ নেতারা। তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয় এবং জামায়াত পক্ষ থেকেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) নেতারা। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে এবি পার্টির একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে গিয়ে জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
জানা গেছে, তারা আমিরে জামায়াতের দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থ জীবন কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করেন। এ সময় প্রতিনিধি দলে ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক এবং অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা।
পরে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আমার বাংলাদেশ পার্টির নেতারা বিকেলে হাসপাতালে এসে আমিরে জামায়াতের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। তারা কিছুক্ষণ আলাপ করে তার চিকিৎসা ও সুস্থতা বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং দোয়া করেন।
জামায়াতের পক্ষ থেকে এবি পার্টির নেতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও মানবিক মূল্যবোধে একে অপরের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সংস্কৃতির অংশ, এবং এবি পার্টির এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
এর আগে, বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমও হাসপাতালে গিয়ে জামায়াত আমিরের খোঁজখবর নেন এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া করেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ডা. শফিকুর রহমানের হার্টের বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে এবং তিনি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন। এমনকি তাকে ডাক্তারের সঙ্গে হালকা হাঁটাচলা করতেও দেখা গেছে।
ডা. শফিকুর রহমান দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেছেন। তিনি বলেন, “আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসাই আমার শক্তি।” তার স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা জানান, তিনি শারীরিকভাবে ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন এবং চিকিৎসকরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই ধরনের মানবিক সৌহার্দ্যপূর্ণ উদ্যোগ ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক মতভেদ সত্ত্বেও অসুস্থতার সময় একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর এই সংস্কৃতি আরও বিস্তৃত হোক—এমন প্রত্যাশা জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।