close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

হাসনাত আব্দুল্লাহর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন এনসিপি নেতা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
NCP leader Farhad Hossain Khan has resigned as chief coordinator in Nagarkanda, Faridpur, citing a lack of democratic process in the committee formation.

ফরিদপুরের নগরকান্দায় এনসিপি নেতা ফরহাদ হোসেন খান প্রধান সমন্বয়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কমিটি গঠনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উপেক্ষার অভিযোগ তুলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।

ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর অভ্যন্তরীণ সংকট নতুন মোড় নিয়েছে। উপজেলা সমন্বয়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ফরহাদ হোসেন খান হঠাৎ করেই তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। রবিবার (১৭ আগস্ট) এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বরাবর পাঠানো এক পদত্যাগপত্রে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান।

পদত্যাগপত্রের অনুলিপি তিনি ফরিদপুর জেলা এনসিপির আহ্বায়ক, নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন অফিসার এবং স্থানীয় প্রেস ক্লাবে জমা দিয়েছেন।

ফরহাদ হোসেন খানের পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ৪ জুন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ যৌথভাবে স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে নগরকান্দা উপজেলা এনসিপির ২৩ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করেন। সেখানে তাকে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হলেও কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের আলোচনা বা মতামত গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টিকে তিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেন।

এ প্রসঙ্গে ফরহাদ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, “আমাকে কোনোভাবে অবহিত না করেই ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা আমার প্রতি অন্যায় এবং দলের ভেতরে গণতন্ত্রের পরিপন্থি। তাই আমি প্রতিবাদস্বরূপ প্রধান সমন্বয়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।”

অন্যদিকে, ফরিদপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলা গণমাধ্যমকে জানান, তিনি এখনো পদত্যাগপত্রের কোনো অনুলিপি পাননি। তবে তিনি স্বীকার করেন, ফরহাদ হোসেন খানের সঙ্গে আগাম পরামর্শ ছাড়াই তাকে নগরকান্দা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। নীলিমা দোলার ভাষায়, “স্থানীয় নেতারা তাকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। পরে ফরহাদ খান আমাদের জানিয়ে দেন যে তিনি এই কমিটিতে থাকতে চান না। তাই আমরা নতুন প্রধান সমন্বয়ক ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি আগামী সপ্তাহেই নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হবে।”

ফরিদপুর জেলা এনসিপিতে এটি এ বছরের দ্বিতীয় বড় পদত্যাগ। এর আগে গত ১০ আগস্ট জেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য মো. রুবেল মিয়া ওরফে হৃদয় পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে, দলীয় কর্মকাণ্ডে অনিয়ম হচ্ছে এবং জুলাই বিপ্লবের নীতি ও নৈতিকতা লঙ্ঘিত হয়েছে। রুবেল মিয়া তার পদত্যাগপত্র ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়দা নীলিমা দোলার কাছে জমা দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের যৌথ স্বাক্ষরে ফরিদপুর জেলা এনসিপির ২৩ সদস্যের এই সমন্বয়ক কমিটি অনুমোদন পায়। এতে প্রধান সমন্বয়কারী করা হয় সৈয়দা নীলিমা দোলাকে, পাশাপাশি আরও পাঁচজনকে যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং ১৭ জনকে সাধারণ সদস্য হিসেবে রাখা হয়।

একাধিক পদত্যাগে ফরিদপুর জেলা এনসিপির অভ্যন্তরে অস্থিরতা আরও প্রকট হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের পদত্যাগ শুধু দলের ভেতরে বিভাজনকেই স্পষ্ট করছে না, বরং স্থানীয় রাজনীতিতেও এর প্রভাব পড়তে পারে। এখন সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে, কে হবেন নগরকান্দা উপজেলা এনসিপির নতুন প্রধান সমন্বয়ক।

No comments found