গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় বর্তমান অবস্থা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
Tension erupts ahead of NCP's July rally in Gopalganj as police vehicle is attacked and set ablaze; three officers injured and hospitalized.

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির আগেই শহরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের গাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের অন্তত তিনজন সদস্য আহত হন। ঘটনার পরপরই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার সময় পুলিশের একটি টহল গাড়ি উলপুর এলাকায় পৌঁছালে একদল হামলাকারী আকস্মিকভাবে গাড়িটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা ও আগ্নেয় বস্তু দিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং মুহূর্তেই গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান জানান, হামলার সময় পুলিশের কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে।
তাঁরা হলেন—গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার এবং কনস্টেবল মিনহাজ। আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, হামলার পেছনে কারা জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে এবং জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এছাড়াও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাটি কেন্দ্র করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।
ওসি বলেন, "পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।"

আজ বুধবারই এনসিপির ঘোষিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে। কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এ নিয়েই শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, এই কর্মসূচিকে ঘিরে প্রশাসন আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল। তবে এমন হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রশাসনকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।

এ ঘটনার পর উলপুর এলাকায় কিছু সময়ের জন্য দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং রাস্তায় যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা এমন দৃশ্য আগে কখনো দেখেননি। অনেকেই ভয়ে ঘর থেকে বের হননি।

এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপরও বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, হামলাকারীরা কত দ্রুত আইনের আওতায় আসে এবং এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়।

Ingen kommentarer fundet