close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

গোপালগঞ্জে ভয়াবহ হা'ম'লা: ছাত্র আন্দোলনের দুই কেন্দ্রীয় নেতার উপর দুর্বৃত্তদের আ'ক্র'মণ, ২৪-এর বিপ্লব থামিয়ে দিতে ষড়'য'ন..

Mamun Sorder  avatar   
Mamun Sorder
গোপালগঞ্জ মডেল স্কুলের সামনে সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হলেন ‘জুলাই আন্দোলন’ ও ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ’-এর দুই শীর্ষ নেতা। আহতদের একজন বলেন, এই হামলার লক্ষ্য ছিল আমাদের শেষ করে গোপালগঞ্জে আন্দোলনের ধারা থামানো।..

গোপালগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনের দুই শীর্ষ নেতার উপর সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সন্ধ্যাবেলায় গোপালগঞ্জ মডেল স্কুলের সামনে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ‘জুলাই আন্দোলনের’ অন্যতম সমন্বয়ক ও ছাত্র অধিকার পরিষদ, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন এবং সংগঠনটির সদস্য সচিব সাইদুর রহমান-এর উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেতৃদ্বয় একটি সাংগঠনিক বৈঠকে অংশ নিয়ে বের হওয়ার পথে, স্কুলের সামনের সড়কে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা হামলাকারীরা তাদের উপর আক্রমণ করে। লাঠি, রড এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলে বেপরোয়া মারধর। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি:

এই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় জসিম উদ্দিন ও সাইদুর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুজনের মাথা, পিঠ ও বুকে আঘাত লেগেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। জসিম উদ্দিন বর্তমানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক না হলেও স্থিতিশীল নয় বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে।

সাইদুর রহমান জানান, “এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল আমাদের দমন করা, যাতে গোপালগঞ্জে ২০২৪ সালের ছাত্র-যুব আন্দোলনের গতি স্তব্ধ হয়। আমরা শেষ হয়ে গেলে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা আর থাকত না — এটাই ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা।”

স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক:

এই হামলার ঘটনায় গোপালগঞ্জের সাধারণ ছাত্র ও সচেতন মহলে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন, একটি সুপরিকল্পিতভাবে সংগঠিত আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টাই এর মূল উদ্দেশ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “জসিম ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা অনেক সাহস পেয়েছিলাম। তার উপর হামলা মানে আমাদের স্বপ্নের উপরই আঘাত।”

গোপালগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনেও এই হামলা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ছাত্র ও যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

হামলাকারীরা কারা? চলছে অনুসন্ধান:

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার হয়নি। তবে পুলিশ বলেছে, তারা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করছে এবং হামলাকারীদের শনাক্তে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি বলেন, “আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পেছনের উদ্দেশ্য কী?

ছাত্র অধিকার পরিষদ ও জুলাই আন্দোলনের নেতারা মনে করছেন, এটি ছিল একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা। ২০২৪ সালের জাতীয় প্রেক্ষাপটে গোপালগঞ্জকে কেন্দ্র করে একটি নতুন গণআন্দোলনের ছাপ স্পষ্ট হতে শুরু করেছিল। এই আন্দোলনকে দমন করতেই হামলাকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে আন্দোলনকারীদের দাবি।

Aucun commentaire trouvé


News Card Generator