close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

গঙ্গাচড়ায় আমন ধানে কারেন্ট পোকা দমনে কৃষি বিভাগের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ..

Md Ubaydullah Rume avatar   
Md Ubaydullah Rume
রংপুর প্রতিনিধি:

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় এ বছর আমন ধানের আবাদে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলাজুড়ে সর্বমোট ১৯,৩৫৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক কারিগরি সহায়তা ও মাঠপর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগে কৃষকেরা এবার বাম্পার ফলনের আশায় উচ্ছ্বসিত।

সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিলেও কৃষি বিভাগের দ্রুত পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কৃষকদের আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম। তিনি জানান, “কারেন্ট পোকার আক্রমণে ধানের গোড়ায় পোকা জমে রস চুষে নেয়, ফলে গাছ শুকিয়ে ‘হপার বার্ন’-এর মতো ক্ষতি দেখা দেয়। এই পোকার বংশবিস্তার সাধারণত অতিরিক্ত ইউরিয়া সার ব্যবহার, জমিতে পানি জমে থাকা এবং স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় বৃদ্ধি পায়।”

পোকার আক্রমণ ও রোগবালাই দমনে উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের জন্য একগুচ্ছ কার্যকর পরামর্শ দিয়েছে, জমিতে অতিরিক্ত পানি জমে না রাখা। সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ, বিশেষ করে ইউরিয়া সারের পরিমিত ব্যবহার। আক্রান্ত জমির চারপাশের আগাছা ও পাতা পরিষ্কার রাখা।  এলএলপি (LLP) প্রযুক্তি গ্রহণে কৃষকদের উৎসাহিত করা। প্রতি দুই হাত দূরে কেটে দেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ। কারেন্ট পোকা প্রতিরোধী জাত ও মানসম্মত বীজ ব্যবহার। ফসল কাটার পর নাড়া পুড়িয়ে দেওয়া। সঠিক সময়ে ও নির্ধারিত মাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, “সময়মতো পর্যবেক্ষণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করলে কারেন্ট পোকা সহজেই দমন সম্ভব।” তিনি বলেন, “আমরা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন, উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা ও লিফলেট বিতরণ করছি। পাশাপাশি সন্ধ্যাবেলায় আলোকফাঁদ কার্যক্রম ও অতন্দ্র জরিপ অব্যাহত রয়েছে।”

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা ব্লক থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গঙ্গাচড়ায় আমন ধানে রোগবালাইয়ের ক্ষতি ন্যূনতম রেখে সর্বোচ্চ ফলন অর্জনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।

Keine Kommentare gefunden


News Card Generator